প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির নারায়ণগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ভুয়া এলসি খোলার নামে ১০২ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে ওয়েস্ট পারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল্লাহসহ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—ওয়েস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল্লাহ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোকসান আরা আহমেদ, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হাসান মাহমুদ, পরিচালক মশিউর রহমান ও মির্জা মো. আনিছুর রহমান। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. শহীদ হাসান মল্লিক (ম্যানেজার), মুশফিকুল আলম (ম্যানেজার অপারেশন), দীপক কুমার দেবনাথ (সাবেক ফরেন ট্রেড ইনচার্জ ও সিনিয়র এভিপি), মুহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার (সাবেক ক্রেডিট ইনচার্জ ও সিনিয়র এভিপি) এবং মো. মাহমুদ মোস্তফা জিলানী (সাবেক এভিপি)।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওয়েস্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার তৎকালীন কর্মকর্তারা যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন ট্রেড গাইডলাইন লঙ্ঘন করে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেন। তারা মোট ১৫টি ভুয়া সেলস কনট্রাক্ট তৈরি করে স্থানীয় এলসি খুলে কাগুজে লেনদেন ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকের ৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়।
এ ছাড়া ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই দুটি অননুমোদিত কমিটমেন্ট আইডি তৈরি করে অতিরিক্ত ঋণসুবিধা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আরও ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ফলে মোট ১০২ কোটি ৭ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যাংক তথা রাষ্ট্র।
** প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারাল ইকবাল পরিবার
** প্রিমিয়ার ব্যাংককে দেড় কোটি টাকা জরিমানা