পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কমে ৫৮.৯০ %

২০২৪–২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে বাংলাদেশ ১০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার (১ হাজার ৩৪ কোটি ডলার) মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। একই সময়ে কাঁচামাল আমদানিতে খরচ হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার (৪২৫ কোটি ডলার)। এতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৬১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে এ খাতে মূল্য সংযোজন ৬০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও অন্যান্য সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানিকে মূল্য সংযোজন হিসেবে বিবেচনা করে। অনেকেই একে প্রকৃত রপ্তানি আয় হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন।

গত দুই অর্থবছরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্যের রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছিল, যার ফলে রপ্তানির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে মূল্য সংযোজনের হারও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এই পরিসংখ্যান গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে ধরে। এরপর পরিসংখ্যান সংশোধন করা হলে দেখা যায়, ওই দুই অর্থবছরের সাতটি প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজনের হার বাস্তবে কমে গেছে।

রপ্তানি আয়ের হিসাব বাড়িয়ে দেখানোর কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সময় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন হঠাৎ করে ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপরের পাঁচটি প্রান্তিকে এই হার ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন নেমে আসে ৬২ শতাংশে। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চারটি প্রান্তিকে মূল্য সংযোজনের হার আরও কমে দাঁড়ায় সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৯৫১ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩৮৪ কোটি ডলার। ফলে এ প্রান্তিকে রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনের হার দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রপ্তানি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৭ কোটি ডলারে এবং আমদানি হয় ৪০৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। এতে ওই প্রান্তিকে মূল্য সংযোজনের হার বেড়ে হয় ৬১ শতাংশ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!