বার্তা প্রতিবেদক: স্বর্ণ আনা হয়েছে পেস্ট (গুড়া) করে। তাও আবার ফেব্রিক্সের মধ্যে বিশেষ আঠা দিয়ে লেপটে লাগানো হয়েছে। জামা, প্যান্ট ও আন্ডারওয়্যারের ভেতরে ফেব্রিক্সের মধ্যে করে স্বর্ণ আনা হয়। কৌশল নতুন আর দুলর্ভ হলেও বাগড়া দিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। নুর হোসেন নামে দুবাই ফেরত এক যাত্রী ‘পেস্ট ফেবিক্স’ কৌশলে স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টা করেছেন। এসময় তার কাছ থেকে প্রায় দেড় কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ওই স্বর্ণসহ যাত্রীকে আটক করেছেন। কাস্টমস গোয়েন্দার একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুবাই হতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে একজন যাত্রী স্বর্ণ চোরাচালান করছেন বলে তথ্য পায় কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক। এরই প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরে কাস্টমস গোয়েন্দার উপপরিচালক সানজিদা খানমের নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন পয়েন্টে সর্তক অবস্থান নেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ওই ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমকালে নুর হোসেন নামে সন্দেহভাজন একজন যাত্রীকে সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বর্ণ পরিবহনের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু গোয়েন্দা দল যাত্রীর দেহ তল্লাশির সময় তার গায়ের জামার মধ্যে শক্ত কিছুর অস্তিত্ব টের পায়। এ প্রেক্ষিতে যাত্রীর গায়ের জামা, প্যান্ট, আন্ডারওয়্যার ভালভাবে পরীক্ষা করেন। এ সময় বিশেষ উপায়ে দুই স্তর বিশিষ্ট ফেব্রিক্স দ্বারা তৈরি এসব বস্ত্রের মধ্যে পেস্ট সদৃশ স্বর্ণের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।
অভিনব উপায়ের পরিধিত শার্ট, প্যান্ট ও আন্ডারওয়্যারের দুই স্তরের মাঝে বিশেষ আঠা দিয়ে লাগিয়ে এসব স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টা করা হয়। যাত্রীর কাছে প্রাপ্ত মোট স্বর্ণের পরিমাণ এক কেজি ৩৩৬ গ্রাম; যার মধ্যে পেস্ট সদৃশ্য (লিকুইড) স্বর্ণ এক হাজার ৩ গ্রাম, স্বর্ণবার ২৩৩ গ্রাম ও স্বর্ণালংকার ১০০ গ্রাম। জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। পরে যাত্রীকে আটক করা হয়। যাত্রীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এবং কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর বিধান অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।###