বিএসইসি গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গত সময়ে ঘটে যাওয়া অনিয়ম, কারসাজি এবং দুর্নীতির বিষয়ে ৬টি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিবেদনগুলোর ওপর প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলছে। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশন মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেসব বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে সেগুলো হল:
১) বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল ইসতিসনা ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত
২) আইএফআইসি গ্রান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত
৩) বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড সংক্রান্ত আইপিও অনুমোদন ও ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত
৪) আল আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, ব্লক মার্কেটে শেয়ার অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কারসাজি এবং ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আরোপিত শর্তসমূহ পরিপালনের হালনাগাদ তথ্যাদিসহ যাবতীয় বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত
৫) ফরচুন সুজ লিমিটেড সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ সংক্রান্ত অনিয়ম এবং কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিবুয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৬) কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড (পূর্বে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড) সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসইসি গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিনেন্স, ১৯৬৯ এবং বিএসইসি আইন, ১৯৯৩ এর ধারা অনুযায়ী গঠিত কমিটি এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা করছে।