পলিথিন ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা আরোপের অংশ হিসেবে সরকার বাজারে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব ব্যাগ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ২০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাবে। রোববার (৩১ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে পাটের ব্যাগ বাজারজাত করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পাটের ব্যাগ টেকসই, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ রক্ষার জন্য পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ প্রচলনে সরকার ভর্তুকি মূল্যে এসব ব্যাগ সরবরাহ করবে।
মান ও আকার অনুযায়ী কারওয়ান বাজারে রোববার পাটের ব্যাগ বিক্রি হয়েছে ২০, ২৫, ৩০, ৩৫, ৭০ ও ৮০ টাকায়। সরবরাহ বাড়াতে ধীরে ধীরে রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও এই ব্যাগ পাওয়া যাবে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এসব ব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সরকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। অথচ দেখেন, না বিক্রি বন্ধ হয়েছে, না ব্যবহার বন্ধ হয়েছে, না উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। পলিথিন কিন্তু আইনত নিষিদ্ধ। সেই ২০০২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবহার হয়েই চলছে। এখন আর আমাদের হাতে সময় নেই। বন্ধ করতে হবে পলিথিন। এই পলিথিনের মধ্যে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকছে। মায়ের দুধে পাওয়া গেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। মানুষের মস্তিষ্কেও প্রবেশ করেছে। পলিথিন হচ্ছে এক ধরনের বিষ। এই বিষ আর নেওয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘একবার ব্যবহার করা পলিথিন বন্ধ হলে বছরে অন্তত এক বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় কমে যেত। পাট স্থানীয় পণ্য হওয়ার পরও পাট খাতে বাংলাদেশ এগোতে পারছে না। অথচ প্রতিবেশী ভারতসহ অনেক দেশ পাট শিল্পে এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম এবং পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা বক্তব্য রাখেন।