বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি কমপক্ষে ৫০ টাকা, আর আদার দাম তার দ্বিগুণ, সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না নেওয়া আমদানি করা আদার সর্বোচ্চ দর নিলামে উঠেছে মাত্র ২৩.৫৪ টাকা, আর পেঁয়াজের দাম ৭.৩৬ টাকা। গত সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমের প্রকাশ্য নিলামে এসব দরেই আদা ও পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস না নেওয়া এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ কেজি পেঁয়াজ নিলামে ওঠানো হয়। এসব পেঁয়াজের সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৯ টাকা, যা প্রতি কেজিতে ৫৩.১০ টাকা নির্ধারিত ছিল। তবে নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৭.৩৬ টাকা।
দর উঠেছে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ। আর ৫৭ হাজার ৫৬০ কেজি আদার সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারিত ছিল ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৭ টাকা। প্রতি কেজি নির্ধারিত মূল্য ১০৬.৭৯ টাকা। কিন্তু নিলামে অংশগ্রহণকারীরা এসব আদা ২৩.৫৪ টাকায় কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৪ শতাংশ।
প্রকাশ্যে নিলামে অংশ নেওয়া রাকিব আহমেদ জানিয়েছেন, নিলামে ওঠানো পচনশীল এসব পণ্যের মান ভালো থাকে না। এসব পণ্য দীর্ঘদিন বন্দরে থাকতে থাকতে পণ্যের গুণগত দিকও ঠিক থাকে না। তাই এসব পণ্যের নিলামে দর কম ওঠে। এখন নিলামে এসব পণ্য বিক্রি না হলে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।তবে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ফেলে না রেখে দ্রুত নিলামে ওঠানো গেলে ভালো দর পাওয়া যেত।
নিলামের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান বলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারীরা আদা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৮০ শতাংশ কম দামে এবং পেঁয়াজ ৮৬ শতাংশ কম দামে কিনতে আগ্রহী। তিনি জানান, নিলাম নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত দরের ৬০ শতাংশ না হলে পণ্যগুলো হস্তান্তর করা হয় না। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিলামের সর্বোচ্চ দরগুলো পর্যালোচনা করে কাস্টম নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, পণ্যগুলো হস্তান্তর করা হবে কি না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের (২০২৪) ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না হওয়া ১১১টি কনটেইনারে রাখা ফল, মাছ, মাছের খাবার, বিভিন্ন শস্যসহ দুই হাজার ৩৫০ টন পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এসব পণ্য ধ্বংস করতে চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ হয় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। এর আগে, একই বছরের নভেম্বরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে আমদানি করা চার লাখ কেজি কমলা, মাল্টা, ম্যান্ডারিন এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় সেগুলো পুঁতে ফেলা হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।
**পেঁয়াজ আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে!
**দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, আলু-কীটনাশকের শুল্ক হ্রাস