নগদের ২৩৫৬ কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্মের প্রায় ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার দুর্নীতি ও পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নগদ- এর কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল হক।

অভিযানে অংশ নেয়া দুদক কর্মকর্তারা জানান, নগদের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি ও ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকার তহবিল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় দুদক। অভিযানের বিষয়ে টিম লিডার মো. রুহুল হক বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে— তার প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি।’

এ বিষয়ে নগদ- এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নগদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করা, ফান্ড সরিয়ে নেয়া এবং শেয়ার হোল্ডিং নিয়ে কিছু স্ক্যাম আছে। প্রাথমিকভাবে ১,৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

অভিযানে অংশ নেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ জানান, তারা ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্মের ডাক অধিদপ্তরের সম্পর্ক, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারগুলোসহ মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ তদন্ত করবেন। নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!