সবচেয়ে ধনী জেলা নোয়াখালী, গরিব মাদারীপুর

বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে ধনী জেলা নোয়াখালী। আর দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা এখন মাদারীপুর। মাদারীপুরে দেশের সবচেয়ে বেশি ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। এর মধ্যে জেলার ডাসার উপজেলার দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা উপজেলা ভিত্তিক হিসেবে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, নোয়াখালী জেলায় দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পোভার্টি অ্যান্ড লাইভলিহুড স্ট্যাটিসটিকস সেল এ রিপোর্ট তৈরি করে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিএসসের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
Noakhali
ঢাকায় সবচেয়ে কম দরিদ্র মানুষ থাকেন পল্টনে

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের গ্রাম এলাকায় দারিদ্র্যের হার কমেছে, কিন্তু শহরে বেড়েছে। ২০২২ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপে গ্রাম এলাকার দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ; দারিদ্র্য মানচিত্রে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। খানা জরিপে শহর এলাকায় দারিদ্র্য ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ; দারিদ্র্য মানচিত্রে তা বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো উঠে এসেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ধনী ও দরিদ্র এলাকাগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক যে বিস্তর বৈষম্য, তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিবেদনে।
Madaripur 01
দেশের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও, গ্রামে সেটি ২০ শতাংশেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস বরিশাল বিভাগে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১৫ দশমিক ২ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগে৷

বেশি গরিব মানুষ বরিশাল বিভাগে, কম চট্টগ্রামে

বরিশালের পরেই বেশি দরিদ্র মানুষ ময়মনসিংহ বিভাগে; ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও, এই সময়ে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার কমেছে। সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায়। অন্যদিকে, সিলেটে দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!