২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশীয় উৎস থেকে পাওয়া গ্যাসের গড় মূল্য হয়েছে প্রতি ঘনমিটার ৩.৩৯ টাকা। একই পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে খরচ পড়েছে ৬৮.৭১ টাকা। ওই সময়ে দেশীয় উৎস থেকে পাওয়া ৭২.২১ শতাংশ গ্যাসের জন্য ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৬২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, আর আমদানিকৃত ২৬.৮৯ শতাংশ গ্যাসের জন্য খরচ হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৯১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশীয় উৎস থেকে সরবরাহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস, আর আমদানির মাধ্যমে যোগান দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৯৭ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ঘনমিটার। রাষ্ট্রীয় তিনটি কোম্পানির উৎপাদিত গ্যাসের গড় মূল্য পড়েছে প্রতি ঘনমিটার ১.৪৪ টাকা, আর বহুজাতিক কোম্পানির চারটি ফিল্ড থেকে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম পড়েছে ৪.৬৮ টাকা করে।
রাষ্ট্রীয় অনুসন্ধান ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৪৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করেছে, যার জন্য পেট্রোবাংলা ৪ টাকা প্রতি ঘনমিটার হারে বিল পরিশোধ করেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড ৫ হাজার ৩২৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ঘনমিটার এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ১১ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করেছে, যাদের প্রতি ঘনমিটার ১ টাকা হারে বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) শেভরন ও টাল্লোর অধীনে থাকা বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার, জালালাবাদ ও বাঙ্গুরা থেকে ১১ হাজার ৭৩৯ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। কোম্পানিগুলোকে চুক্তি অনুযায়ী গড় ৪.৬৮ টাকা প্রতি ঘনমিটার হারে পরিশোধ করা হয়েছে। একই সময়ে কাতার থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে আনা ৩ হাজার ৪০৩ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের দাম হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৫০ মিলিয়ন টাকা, যা প্রতি ঘনমিটার ৪৭.৪২ টাকার সমান। ওমান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে আনা ১ হাজার ১৯১ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়েছে ৫৩ হাজার ৮০ দশমিক ১৪ মিলিয়ন টাকা, যার গড় মূল্য ৪৪.৫৬ টাকা প্রতি ঘনমিটার।
স্পট মার্কেট থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজির দাম পড়েছে ৬৫.০৬ টাকা প্রতি ঘনমিটার। ৩ হাজার ৪০৩ মিলিয়ন ঘনমিটার এলএনজির মোট খরচ হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৪৪৩ মিলিয়ন টাকা। এলএনজি মুসক (৭.২০ টাকা), রি-গ্যাসিফিকেশন (২.৬৩ টাকা), উৎসে কর (২.৪৭ টাকা) ও এআইটি (১.০৭ টাকা) যুক্ত হওয়ার পর আমদানিকৃত গ্যাসের মোট খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪১ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাসের গড় মূল্য পড়েছে ৩.৩৯ টাকা, আর আমদানিকৃত গ্যাসের গড়মূল্য হয়েছে ৬৮.৭১ টাকা। দেশীয় ৭২.২১ শতাংশ গ্যাসের সঙ্গে আমদানিকৃত ২৬.৮৯ শতাংশ গ্যাসের মিশ্রিত ক্রয়মূল্য হিসাব করা হয়েছে।