দুদকের মামলায় সাবেক মেয়রের স্ত্রী কারাগারে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহিরুল হক রায়হানের স্ত্রী সামিয়া শারমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৩ জুলাই) জামিন নামঞ্জুরের পর আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ।

আওয়ামী লীগ নেতা ও কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জাহিরুল হক রায়হানের স্ত্রী সামিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৩ জুলাই) সামিয়া শারমিন আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী। অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাহিরুল হক রায়হান ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো কবিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর তিনি পরপর তিন মেয়াদে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব পালনের সময় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জাহিরুল হক রায়হান ও তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন, যিনি গৃহিণী, তাদের আয়ের কোনো বৈধ উৎস বা ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম আলীপুর মৌজায় তাদের নামে একটি চারতলা ভবন শনাক্ত করা হয়। দুদকের যাচাইয়ে ওই ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়। অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, জাহিরুল হক রায়হান ও সামিয়া শারমিন পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে এই স্থাবর সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন।

এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল হক রায়হানের স্ত্রী সামিয়া শারমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!