বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে এনভয় টেক্সটাইল

গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হলেও এনভয় টেক্সটাইল ছিল ব্যতিক্রম। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যেখানে সাড়ে চারগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, সেখানে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম টানা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে এনভয় টেক্সটাইল সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ পছন্দের তালিকায় ছিল। ফলে ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ সময়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯ টাকা ৬০ পয়সা বাড়ায় মোট বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬১ কোটি ২ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৬১ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৫১ টাকা ৪০ পয়সা। শেয়ারদরে এ ধারাবাহিক উত্থানের আগে কোম্পানিটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ ও ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ করে এবং ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) শেয়ারপ্রতি মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা।

২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭টি। এর মধ্যে ৬৫.১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ইউনিটের মধ্যে ৯.৮০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের, ২৪.৯৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং ০.০৭ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় এনভয় টেক্সটাইলের পর শীর্ষে ছিল শ্যামপুর সুগার মিল, যার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬.৮৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে রয়েছে ইউসিবি ব্যাংক, যার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ। এছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকনো ড্রাগসের দাম বেড়েছে ১৪.৬৫ শতাংশ, ক্রাউন সিমেন্টের ১৪.১৫ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৩.০৬ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ১২.১৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১০.৯৯ শতাংশ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ১০.৫৯ শতাংশ এবং মেট্রো স্পিনিংয়ের ১০.০৯ শতাংশ।