অর্থনীতিতে গতি কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের আগের দুই প্রান্তিকের তুলনায় বেশি।
গত জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের জিডিপির তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে স্থির মূল্যে দেশের অভ্যন্তরে মোট মূল্য সংযোজন হয়েছে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২০ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বরে এ পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। আর প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেষে মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছিল ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতির প্রভাব পড়েছিল চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে। ফলে ওই জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ১ দশমিক ৮১ শতাংশে। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির ফলে পরবর্তী দুই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি আবার বাড়তে শুরু করে।
জিডিপির হিসাব কৃষি, শিল্প ও সেবা—এই তিন খাতভিত্তিতে করা হয়। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে কৃষি খাতে, যা ছিল মাত্র ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর বিপরীতে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।