ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। গত তিনদিনে মসলা জাতীয় পণ্যটির কেজিতে দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়াচ্ছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও, তেজগাঁওয়ের কলোনী বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে কেজি এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। তিনদিন আগেও এই দুই ধরনের পেঁয়াজ অন্তত ১৫ টাকা কমে কেনা গেছে। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়লেও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখনও অনেক কম। গেল বছরের এই সময় পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০৫ থেকে ১২০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে দাম কমেছে ৩৩ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে এখন যেসব পেঁয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে সেগুলো সবই দেশি। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এরশাদ আলী বলেন, কোন দেশ থেকে এখন পেঁয়াজ আসছে না। দেশের পেঁয়াজ দিয়েই চলছে বাজার। বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে। গত তিন-চার দিনে পাইকারী মোকামে প্রতি মণে বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তাঁর ভাষ্য, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তাই দাম বেশি বাড়বে না।
আগারগাঁও কাঁচা বাজার থেকে ৮০ টাকা দরে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন আসাদুল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকায়। আজ কিনতে হলো ৭৫ টাকায়। কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ছে। বাজারে এখনই তদারকি না করলে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম আরও বাড়াবে।’
** কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
** পেঁয়াজ চাষে খরচের অর্ধেকও উঠছে না দাম
** ভারত থেকে আসছে আলু-পেঁয়াজ, সংকট কাটবে
** পেঁয়াজ আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে!
** দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, আলু-কীটনাশকের শুল্ক হ্রাস
** নিলামে পেঁয়াজ মাত্র ৭ টাকা কেজি
** পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের আয়কর নথি তলব
** পেঁয়াজ মজুদে একজোট ফড়িয়া-কৃষক-ব্যবসায়ী
** পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ % শুল্ক ছাড় দিলো ভারত