তামাবিল স্থলবন্দরে মাসে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

দুদকের অভিযান

** দুদক জানায়, ৫ টনের ট্রাকে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য আনা হচ্ছে। এতে প্রতিটি ট্রাকে অতিরিক্ত ৫ থেকে ৬ টন পণ্য প্রবেশ করছে

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ঘোষণার চেয়ে অধিক পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে তিন কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বন্দরে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার সদস্যের একটি দল। এ সময় দুদকের সদস্যরা স্থলবন্দরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন। দুদকের সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দুদক জানায়, তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, চুনাপাথর ও ফল আমদানি করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ইট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্রসাধনী পণ্য রফতানি করা হয়। এসব পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় বন্দর দিয়ে পণ্য খালাসে শুল্ক ফাঁকির সত্যতা পাওয়া যায়।
Tamabil ACC
দুদকের সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, ‌‘বন্দরে লোড-আনলোড কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ টনের ট্রাকে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য আনা হচ্ছে। এতে প্রতিটি ট্রাকে অতিরিক্ত পাঁচ-ছয় টন পণ্য প্রবেশ করছে। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করায় গড়ে ১৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, যা মাসে সবমিলিয়ে প্রায় তিন কোটি ৩২ লাখ টাকায় দাঁড়াচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হুসনে আরা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনও লোড-আনলোড কার্যক্রম পরিচালনা না করেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযানে এর সত্যতা মিলেছে। এসব বিষয়ে অধিকতর তদম্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘আমদানিকারকদের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজনের পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কাস্টমস নিয়মিত মামলা করছে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!