দেশে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৮৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৪০৫ জনে। একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে, সংখ্যাটি ছিল ৩৯৬। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। এরপরের মাসে অক্টোবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৫৯ জনের। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন।
এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে গত মাসে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ ও নারী ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭ জন, বরিশাল বিভাগে ২৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১, খুলনা বিভাগে ১২, ঢাকা বিভাগে ৭ জন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট তিন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। এই বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২৯৪। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা যাচ্ছেন ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা। এই বয়সী ২৪ রোগী ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৮ জন নারী। আর শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী ২৭ শিশু–কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।