রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় অজ্ঞাত ছিল। এর মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিআইডির গণমাধ্যম শাখা জানায়, ফরেনসিক ল্যাবে নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিহত ওই পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। পরে আহতদের মধ্যে আরও দুজনের মৃত্যু হওয়ায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এরপর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৬ জন। বিমান বিধ্বস্তের পর আগুন ধরে গিয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় শুরুতে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের পরিচয় শনাক্তে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সিআইডির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ২২ জুলাই সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ঢাকা সিএমএইচে সংরক্ষিত অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে। এরপর ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাঁচটি পরিবারের মোট ১১ সদস্যের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে তুলনা করে ওই পাঁচ মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন—মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. বাবুল ও মাজেদা বেগম দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া, মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া, মো. শাহাবুল শেখ ও মিম দম্পতির মেয়ে রাইসা মনি এবং আবদুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া।