‘টিউশন ফি ৪০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। এক কেসে দেখা গেছে, ছেলের একটি সেমিস্টারের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আমরা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করছি না। কতটা ইনোভেটিভ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার হয়েছে। আমরা জানতাম ওভার ইনভয়েসিং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং সিস্টেমে বা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা চলে গেছে। কিন্তু দেখা গেছে কিছু কিছু জায়গায় লুপ হোল খুঁজে ৪০০ কোটি…। পৃথিবীতে কারও টিউশন ফি ৪০০-৫০০ কোটি টাকা আছে?

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে টাস্কফোর্সের সভায় এই তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ফোকাস ছিল পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।তিনি বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোলো, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়, সেটি ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।

শফিকুল আলম বলেন, প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনও সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টির মতো ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্টে যাবো। সেটি নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের মানুষের টাকা। যত দ্রুত টাকা ফেরত আনা যায়, এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং হবে, বলেন প্রেস সচিব।তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও ডিটেইলসে জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!