## বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ নিরীক্ষা করা হয়নি, করেছে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার
## সাউথ চায়না ব্লিচিং এর কাছে রাজস্ব বকেয়া ১১০৫.৪৮ কোটি টাকা
## দেশবন্ধু সুগারের কাছে বকেয়া ৯১৮.৪৭ কোটি, ১৩৫.৯৩ কোটি টাকার দাবিনামা জারি
বিশেষ প্রতিনিধি: প্রিভেন্টিভ কার্যক্রম, নিয়মিত অডিট, মামলা, লাইসেন্স বাতিলসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার থেমে নেই। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধা নিতে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধার কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয়। ব্যবস্থা নেওয়ার পরও যেসব প্রতিষ্ঠান রাজস্ব ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ৮৩ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। সেই তালিকা সম্প্রতি এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। তালিকায় প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব আছে কিনা, চালু না বন্ধ, মেশিনের সংখ্যা, কোন ধরনের বন্ড লাইসেন্স, বিন লক কিনা, বন্ডের মেয়াদ, প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ নিরীক্ষা, রপ্তানি ব্যর্থতা, ফোর্স লোন আছে কিনা, এফওসি এর মাধ্যমে আমদানি হয় কিনা, অনিয়ম মামলার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তালিকায় অনুযায়ী, কসমো সিনথেটিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি.। প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক সচল এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির মামলা ও বিচারাদেশ হয়েছে। প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করেছে। টেক্সলাইন ইন্টারন্যাশনাল সচল প্রতিষ্ঠানটি নিরীক্ষা বাকি এবং ফাঁকি দেয়া শুল্ককর পরিশোধ করেনি। ভূঁইয়া পলি প্যাক এন্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানটি সচল থাকলেও কার্যক্রম নেই। নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ১৭ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হয়েছে। মাইক্রো লেবেল এন্ড ট্যাপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কার্যক্রম চলমান নেই এবং প্রতিষ্ঠান বিন লক রয়েছে। ২০১৮ সালের পর হালনাগাদ নিরীক্ষা হয়নি। ৬৩ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির মামলা বিচারাধীন। ফাহিম এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ সচল থাকলেও কার্যক্রম নেই। প্রায় ২২ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হয়েছে। বে পলি এন্ড প্যাকেজিং লি. বন্ধ ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান। হালনাগাদ নিরীক্ষা হয়নি, ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির মামলা বিচারাধীন। আনোয়ারা স্টাইলস লি. সচল থাকলেও হালনাহাগাদ নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির কোন তথ্য নেই। আরিয়ান নিটওয়্যার সচল থাকলেও ২০১৬ সালের পর নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির কোন তথ্য নেই। ভূঁইয়া ফেব্রিক্সস লি. সচল থাকলেও নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। প্রায় ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করেছে। গ্লোবাল ডায়িং এন্ড স্পিনিং লি. সচল থাকলেও অস্তিত্ব নেই। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা করা হয়নি। ২০১৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ট্রাইব্যুনালে আপীল করলেও পরবর্তীতে আর কোন আপডেট নেই।
তালিকায় রয়েছে, মদিনা প্যাকেজিং প্রা. লি. সচল থাকলেও নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হয়েছে। মজুমদার প্যাকেজেস লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিরীক্ষা করা হয়নি এবং রপ্তানির তথ্য নেই। এমএম ট্রেড অ্যাপারেলস সচল থাকলেও নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ৬৩ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারি করা হলে প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করে। ফেডারেল করপোরেশন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই, বিন লক করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর নিরীক্ষা করা হয়নি। ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকিতে ২০১৭ সালে বিচারাদেশ হলেও টাকা পরিশোধ করেনি। পদ্মা ব্লিচিং এন্ড ডায়িং লি. সচল থাকলেও নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকার বিচারাদেশ হলেও টাকা পরিশোধ করেনি। নতুন রেসুলি স্ক্রিন প্রিন্টিং লাইসেন্স সচল থাকলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ। নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ৮৩ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারির পরও প্রতিষ্ঠান ট্রাইব্যুনালে আপীল করেছে। সোনারগাঁও জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও নিরীক্ষা করা হয়নি। প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির মামলা হলে প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। সানফ্লাওয়ার টেক্সটাইল মিলস লাইসেন্স সচল থাকলেও নিরীক্ষা হয়নি। ২০ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকি, ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড এবং প্রায় ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকার দাবিনামা জারি করা হয়েছে।
তালিকায় আরো রয়েছে, এক্সিম ফুটওয়্যার লি. প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বিন লক। নিরীক্ষা করা হয়নি এবং প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকি মামলা চলমান। বোনিটো বোতাম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লাইসেন্স সচল থাকলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ। একটি মামলায় প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ টাকা ও প্রায় ৯৫ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারি করা হয়েছে। ফ্লোরিসেন এক্সেসরিজ প্যাকেজিং লি. বন্ধ ও বিন লক। নিরীক্ষা করা হয়নি এবং প্রায় ৩ কোটি টাকার বিচারাদেশ, প্রায় ৩ লাখ টাকা দাবিনামা জারি করা হয়েছে। অরিক্স প্যাকেজিং এন্ড এক্সেসরিজ লাইসেন্স সচল থাকলেও ৩৪ লাখ এবং এক কোটি ৩৭ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকিসহ একাধিক মামলা চলমান। ম্যাগফাই কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের শুল্ককর ফাঁকির মামলা চলমান। মার্ক প্যাকেজিং এন্ড এক্সেসরিজ লি. নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। ম্যানটাকা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও বন্ডেড কার্যক্রম নেই। প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ জারি করা হলে প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করে। নাসা হাই-েটক ওয়াশ লি. এর বিরুদ্ধে শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারি করা হয়েছে। ডব্লিউ ওয়ান কোং লি. লাইসেন্স স্থগিত ও বিন লক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারি করা হয়েছে। সান জিনিয়াং বোতাম লি. লাইসেন্স থাকলেও কার্যক্রম নেই। নিরীক্ষা হয়নি, সাড়ে ৩২ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির মামলার বিচারাদেশ হয়েছে। সূচী-সোহা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ লি. এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কাঁচামাল অপসারণের অভিযোগে দাবিনামা জারি করা হয়েছে। বি জে বাংলাদেশ এক্সেসরিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার মামলা উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার দাবিনামা জারি করা হয়েছে। জান্নাত প্যাকেজিং এন্ড এক্সেসরিজ এর অস্তিত্ব নেই। বিন লক ও লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাঁচামাল আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
তালিকায় রয়েছে, বিএসপি প্লাস্টিক (বিডি) প্রাইভেট লি. পরিদর্শনে বন্ডেড কাঁচামাল পাওয়া যায়নি। ফ্যাশন জিন্স লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। প্রায় ৫৮ কোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি করে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। যাতে শুল্ককর ফাঁকি প্রায় ৫১ কোটি টাকা। হরিজন ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেডের বিরুদ্ধে রপ্তানি ব্যর্থতার অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা হয়েছে। রেডিসন অ্যাপারেলস লি. এর অস্তিত্ব নেই, প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিন লক। বন্ডেড কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। থ্রি-এ ফ্যাশনস লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও অস্তিত্ব নেই। শুল্ককর ফাঁকি উদ্ঘাটন ও বিচারাদেশ হয়েছে। এ এন্ড এ সচকস লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও কার্যক্রম নেই। বডি স্টিচ বাংলাদেশ লি. কার্যক্রম নেই। জেড-থ্রি ড্রেসেস লি. ২০১৮ থেকে নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। মায়েচ গার্মেন্টস লিমিটেডের অনিয়ম মামলা রয়েছে এবং ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। মায়েস গার্মেন্টস লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনিয়ম মামলা রয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। ভাবি অ্যাপারেলস লি. কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করে। প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা শুল্ককর ফাঁকির মামলা রয়েছে, রপ্তানির টাকা দেশে আসেনি, ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। ফ্যাবুলোয়াস ফ্যাশনস লি. ২০১৭ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি এবং ৬২ লাখ ডলার ওভারভিউ রয়েছে। করোনা ফ্যাশন লি. কাটিং তদারকিতে প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়েছে। অনুমোদনহীন এইচএস কোডে পণ্য আমদানি করায় নোটিশ জারি করা হয়েছে। কাজী অ্যাটায়ার লি. ২০১৮ থেকে নিরীক্ষা বাকি। হামিদ সুয়েটার লি. ইউডি বর্হিভূত কাঁচামাল আমদানি করায় বিচারাদেশ হয়েছে। হ্যাভেন নিট গার্মেন্টস লি. ২০১৫ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। নিউ মদিনা ফ্যাশন ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। মাস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডের নিরীক্ষা বাকি ও অনিয়মের অভিযোগে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফিরোজ নিটিং মিলস প্রা. লি. ২০১৮ থেকে নিরীক্ষা বাকি। প্রায় ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার অনিয়মের মামলা রয়েছে। জাহিরা ফেব্রিক্স, খাজা অ্যাটায়ারস লি. নিরীক্ষা বাকি।
তালিকায় আরো রয়েছে, মারকিউরী নিটওয়্যার প্রা. লি. নিরীক্ষা বাকি, অনিয়মের অভিযোগে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নিট ওয়ার্ল্ড লি. অতিরিক্ত অপচয়ের উপর প্রায় ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাঁচামাল ব্যবহার, ইউডি বর্হিভূত কাঁচামাল সংগ্রহ ও অবৈধভাবে কাঁচামাল অপসারণ করায় কারণ দর্শানো নোটিশ জারি। সাধন নিটওয়্যার ফ্যাশন লি. প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছে। বায়জিদ নিট গার্মেন্টস লি. ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। রকি নিটিং মিলস প্রা. লি. নিরীক্ষা বাকি। এন জি কম্পোজিট লি. লাইসেন্স সচল থাকলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করেছে। সোনালী ফেব্রিক্স এন্ড টেক্সটাইল মিলস প্রা. লি. নিরীক্ষা বাকি, ইউডি বর্হিভূত কাঁচামাল অপসারণ করেছে। বে ট্যানারিজ লি. নিরীক্ষা বাকি, ১৭ হাজার ডলার মূল্যের ওভারভিউ রয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট ড্রেসেস প্যান্ট লি. নিরীক্ষা সম্পন্ন না করায় বিচারাদেশ জারি। আলিফ ক্যাসেল ওয়্যার লি. ২০১৯ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি, ফোর্সস লোন রয়েছে। প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির শুনানি চলছে। অ্যাভেন্ট গার্মেন্টস লি. ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। প্রায় ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং প্রায় ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মামলা রয়েছে। আসস্ট্রো স্ট্রিচ আর্ট লিমিটেডের অস্তিত্ব নেই এবং ২০১৭ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। বিএইচএমএল সুয়েটার্স লি. তিন বছর নিরীক্ষা বাকি।
তালিকায় রয়েছে, হোম টেক্সটাইল লি. ২০১৬ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি এবং ২১ লাখ টাকা দাবিনামা জারি করা হয়েছে। হোসেন ফ্যাশন লি. ও ইসলাম গার্মেন্টস লি. নিরীক্ষা বাকি। ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার বন্ডিং মেয়াদ উত্তীর্ণ কাপড় ব্যবহার করায় দাবিনামা জারি করা হলে প্রতিষ্ঠান ট্রাইব্যুনালে গিয়েছে। ট্রাস্ট ফেব্রিক্স এন্ড নিটিং প্রা. লি. অনিয়মের অভিযোগে বিন লক এবং ২০১৮ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। তুলাগা সুয়েটার লি. অনিয়মের অভিযোগে বিন লক এবং ২০১৮ থেকে নিরীক্ষা বাকি। ম্যাগফাই নিটওয়্যার লি. ফোর্স লোনের বিপরীতে দাবিনামা জারি করা হয়েছে। ইন্ট্রাকো ডিজাইন লি. কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করায় প্রায় ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার বিচারাদেশ জারি করা হয়েছে। মা স্টিচ এর নিরীক্ষা বাকি এবং কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারণ করায় প্রায় ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকির বিচারাদেশ হয়েছে। শী এন্ড হি অ্যাপারেলস লি. এর প্রায় ২২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ওভারডিউ এবং ফোর্স লোন আছে। শান্তা গার্মেন্টস লি. অনিয়মের অভিযোগে লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিন লক রয়েছে। ওভারডিউ ও ফোর্স লোন রয়েছে। সাইনারজি ডিজাইন এন্ড ফ্যাশন প্রা. লি. বিন লক, ২০১৪ সাল থেকে নিরীক্ষা বাকি। প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকি বিচারাদেশ হয়েছে।
তালিকায় আরো রয়েছে, সাউথ চায়না ব্লিচিং এন্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লি. এক মামলায় প্রায় ৭২০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, অপর মামলায় ১৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকি রয়েছে। দুইটি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। প্রায় ২২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শুল্ককর ফাঁকির দাবিনামা জারি হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট রাজস্ব পাওনা প্রায় ১১০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। জার্মান কেমিক্যালস লি. অনিয়মের অভিযোগে দাবিনামা জারি করা হয়েছে। রেড পয়েন্ট জ্যাকেট লিমিটেডের অস্তিত্ব নেই, নিরীক্ষা বাকি। প্রায় ৭১ কোটি ১৯ লাখ টাকা শুল্ককর ফাঁকিতে দাবিনামা জারি করা হয়েছে। আলফা প্যাকেজেস (বাংলাদেশ) লি. বিরুদ্ধে অনিয়ম মামলা রয়েছে। অ্যালিউরিং ফ্যাশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে জাল শিপিং বিল দাখিলের মামলা চলমান। দেশবন্ধু সুগার মিলস লি. বিন লক ও লাইসেন্স সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৩টি বিচারাদেশ ও একটি কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা হয়েছে। ১৩টি মামলা উচ্চ আদালতে চলমান, যাতে মোট শুল্ককর প্রায় ১১৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকা (সুদ ও অর্থদণ্ডসহ)। এর মধ্যে প্রায় ২৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে, বাকি ৯১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর র সুগার অবৈধ অপসারণ করায় প্রায় ১৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দাবিনামা জারি করা হয়েছে।
###