জেনেক্সের জালিয়াতি: ইএফডি মেশিন বসাতে ‘ঘাপলা’

ভ্যাট আদায়ে কমিশন নিয়ে ক্ষোভ

** দুই বছরে মেশিন বসেছে ১১৩১৩টি, এর মধ্যেও সিস্টেমে থাকা তথ্য আর বাস্তবে মেশিনে গরমিল রয়েছে
** মেশিন রিয়েল টাইম প্রদর্শন করে না, ড্যাশবোর্ড সমস্যা, কনফিগারেশন অনুযায়ী মেশিন বসেনি
** ৫টার পর জেনেক্সের কাউকে পাওয়া যায় না, শূন্য চালান দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না

চুক্তি অনুযায়ী জুন পর্যন্ত ৬০ হাজার ইএফডি মেশিন ও এসডিসি স্থাপনের কথা। সিস্টেমে ১৪ হাজার মেশিন স্থাপনের তথ্য থাকলেও মেশিন বসেছে মাত্র ১১ হাজার। মেশিন রিয়েল টাইম ডেটা প্রদর্শন করে না। ড্যাশবোর্ড ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়। মেশিন তদারকিতে কর্মকর্তাদের দেয়া হয়নি প্রশিক্ষণ। করদাতাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। মেশিন শূন্য চালান দেখালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অনিয়মের তথ্য ভ্যাট কমিশনারেটকে দেওয়া হয়নি। ইউজার ম্যানুয়াল তৈরি হয়নি। কার্ডে পেমেন্টের অপশন নেই। রিটার্ন মডিউল তৈরি হয়নি। সার্ভারের সংযোগ নিয়মিত রাখার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সমস্যা। মেশিন বিকল হলে লোকজন আসে না। মনিটরিং নেই। এসডিসি স্থাপনের তথ্যে গরমিল। কলসেন্টারে জবাব দিতে পারে না। প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিলেও মেশিন বসানো হয়নি। মেশিনের কনফিগারেশনে সমস্যা। ইএফডি মেশিন ও এসডিসি স্থাপনে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের এমন অনেক অনিয়ম পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গঠিত তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি কমিটি এই প্রতিবেদন দিয়েছে। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

Genex Photo

সূত্রমতে, ‘জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ফাংশনাল কার্যক্রম পরীক্ষা’ করে প্রতিবেদন দিতে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান এর মহাপরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল আলমকে আহ্বায়ক ও ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মসিউর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়। দেশব্যাপী ইএফডিএমএস স্থাপন, খুচরা ও ব্যবসায় পর্যায়ে অনলাইনভিত্তিক মূসক আহরণ ব্যবস্থা চালু করতে এনবিআর প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিবন্ধ হয়। চুক্তির শর্তাবলী ও চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান জেনেক্স এর ফাংশনাল কার্যক্রমের বর্তমান অগ্রগতি যথাযথভাবে ধারাবাহিক এবং সামসঞ্জ্যপূর্ণ রয়েছে কিনা—তা পরীক্ষণ ও পর্যালোচনা করে বাস্তব সম্মত প্রতিবেদন তৈরি করতে এই কমিটি করা হয়।

Genex 02

মেশিন বসবে ৬০ হাজার, বসেছে ১১ হাজার

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেন্ডর জেনেক্স এর সাথে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এনবিআরের চুক্তি হয়। জেনেক্স চুক্তির শর্ত পালন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী মেশিন বসানোর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও যায়নি। চুক্তির শর্ত ছিলো—প্রত্যেক জোনে (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কমিশনারেট, চট্টগ্রাম কমিশনারেট) ২০ হাজার করে প্রথম বছরে ৬০ হাজার ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ হাজার ও ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ৬০ হাজার বসানোর কথা। সে অনুযায়ী মেশিন বসানোর একটি প্রাথমিক ম্যাপিং করে জেনেক্স। কিন্তু কমিটি যাচাই করে দেখেছে—জেনেক্স ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ২৪৮টি মেশিন বসানো হয়েছে বলে এনবিআরকে তথ্য দিয়েছে। যদিও বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে ভেন্ডরকে ৪২ হাজার ২৩৫টি বিআইএন বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সরবরাহ করেছে এনবিআর। কিন্তু চলতি বছরের মে পর্যন্ত মেশিন বসেছে ১১ হাজার ৩১৩টি। বাকি ৪ হাজার ৬৬২টি মেশিন প্রতিষ্ঠানের কাছে অবশিষ্ট রয়েছে। জেনেক্স ১৯৫টি এসডিসি স্থাপনের দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে এসডিসি স্থাপন হয়েছে ৯৭টি। ৭ হাজার ৯৫৮টি এসডিসি মেশিন স্টকে জমা থাকলেও এপিআই সংক্রান্ত জটিলতায় তা বসানো সম্ভব হয়নি। মেশিন স্থাপনের হার বর্তমান সময় পর্যন্ত মাত্র ১৯ শতাংশ। বর্তমান গতিতে মেশিন স্থাপন করা হলে কোনভাবেই সফলতা আসবে না।

NBR

সিস্টেম পর্যালোচনায় দেখা গেছে—সিস্টেমে প্রদর্শিত মেশিনের সংখ্যার সঙ্গে বাস্তবে স্থাপিত মেশিনের সংখ্যার মিল নেই। বাস্তবে কম মেশিন স্থাপিত হলেও সিস্টেমে বেশি মেশিন দেখিয়েছে জেনেক্স। মেশিন ব্যবহার সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা পাওয়া গেছে। যেমন—মেশিনগুলো রিয়েল টাইম ডেটা প্রদর্শন করে না। স্থাপিত মেশিনের সাথে সার্ভার সংযোগ নিয়মিত রাখার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। ড্যাশবোর্ড ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়। মেশিন বিকল হলেও সচল করতে বিলম্ব হয়ন। অর্থাৎ চুক্তির শর্তানুযায়ী যে কনফিগারেশনের মেশিন দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হয়নি।

ট্রেনিং সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিস্টেম তদারকির জন্য এনবিআরের কর্মকর্তাদের দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য স্থানীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দেওয়ার শর্ত ছিলো। কিন্তু সিশিউল অনুযায়ী কাঠামোগত প্রশিক্ষণ প্রদান করেনি জেনেক্স। ভবিষ্যৎ প্রশিক্ষণের জন্য রের্কডেড টিউটোরিয়াল সরবরাহ করার শর্ত থাকলেও তা পায়নি তদন্ত কমিটি। মেশিনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘ট্যাক্সপেয়ারদের’ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও প্রশিক্ষণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শর্তানুযায়ী, পাঁচজনকে চীন বা দুবাইতে ফ্যাক্টরি ভিজিট বা অভিজ্ঞতা বিনিময়, ডিভাইসের উপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। কিন্তু তা দেয়া হয়নি। ২০ জনকে সূচি অনুযায়ী স্থানীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। প্রত্যেক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ৬ ঘণ্টা করে তিনদিন করে ব্যাচ অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের দাবি, তারা মেশিন স্থাপনের সময় ব্যবহারকারীকে মেশিন পরিচালনার প্রায়োগিক জ্ঞান প্রদান করেছে।

Genex 01

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মানবসম্পদ পদায়নসহ ‘স্মার্ট’ কার্য সম্পাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন ইএফডি বা এসডিসি স্থাপিত মেশিন রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ‘ভিজিলেন্স প্ল্যান’ তৈরি করার শর্ত ছিলো। কিন্তু প্রতিষ্ঠান মানবসম্পদ পদায়নের যে তথ্য প্রদান করেছে তাতে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত জনবল ১৪৪ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৩১ জন, গুলশান মূল কার্যালয়ে ১০৬ জন কাজ করেন। স্থাপিত ১১ হাজার ৪১০টি ডিভাইস তদারকির জন্য ১৪৪ জন অর্থাৎ প্রতিজন ৭৯টি তদারকির দায়িত্ব পালন করেন। অফিস সময়ের পরে অর্থাৎ বিকেল ৫টার পর জেনেক্স কর্মীদের পাওয়া যায় না। কাজের ক্ষেত্রে তদারকির অভাব রয়েছে। যে জনবল রয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়নি। যখন কোন মেশিন শূন্য চালান প্রদর্শন করে—তখন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। মেশিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে স্মার্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়নি। এছাড়া ভেন্ডর এফএকিউএস, জরিপ ও প্রতিবেদনসহ সকল দলিলাদি তৈরি ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার শর্ত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভেন্ডর ব্যবহারকারীদের মতামত গ্রহণ ও তথ্য সরবরাহ করার জন্য ‘ওয়েব পেইজ’ তৈরির কথা থাকলেও তা তৈরি করা হয়নি।

ইএফডি বা এসডিসি মনিটরিং

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিজিলেন্সের মাধ্যমে ইএফডি বা এসডিসি ব্যবহার করে রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে অবহিত করার শর্ত ছিলো। কিন্তু অনিয়মের কোন তথ্য কমিশনারকে পাঠানো হয়নি। জিরো চালানের ক্ষেত্রে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হটলাইন নাম্বার চালু থাকলেও জবাব প্রদানের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব দেখা গেছে। কার্ড পেমেন্ট অপশন ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা। চলতি বছরের মে মাসে কেবল সিটি ব্যাংকের কার্ড পেমেন্ট অপশন চালু হলেও অন্য ব্যাংকের সঙ্গে হয়নি। ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবরের মধ্যে রিটার্ন মডিউল সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা অঞ্চলের কার্যক্রম গুলশান থেকে পরিচালনা করে। কমিশনারেট ভিত্তিক কোন মনিটরিং অফিস নেই। ফলে মনিটরিং কার্যক্রম কার্যকর নয়।

কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ, ভ্যাট আদায়ে কমিশন নিয়ে ক্ষোভ

ভ্যাট কমিশনারেটের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাট আদায়ে মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব কর্মকর্তারা দোকান, প্রতিষ্ঠানে ছুটে বেড়ান। তারা প্রতিনিয়ত নতুন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনেন। আর যেসব প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দেয়, তাদের নিরীক্ষা করে বিপুল পরিমাণ ফাঁকি উদ্ঘাটন ও আদায় করে থাকেন। কিন্তু ইএফডি বসানোর ফলে তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কারণ এক মার্কেটে বসানো হলো, পাশের মার্কেটে বসেনি। এতে ভ্যাট আদায়ে প্রভাব পড়ে। মেশিন তদারকিতে একজন সিপাহী বা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে পাহারা দিতে হতো। এতে ওই মেশিন থেকে যে ভ্যাট আসতো, তা ওই কর্মকর্তার কর্মঘণ্টার চেয়ে অনেক কম। প্রায় সময় মেশিন বন্ধ রাখতো প্রতিষ্ঠান। আর মেশিন যে দোকানো বসানো হয়েছে, সে দোকানে ভ্যাট কর্মকর্তা সরাসরি ফাঁকি উদ্ঘাটন করতে পারতো না।

Genex 03

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভ্যাট কর্মকর্তারা সরকারি বেতনসহ সুবিধা পান। ভ্যাট আদায় তাদের একমাত্র কাজ। কিন্তু মেশিন বসিয়ে ‘জেনেক্স’ ভ্যাট আদায় করে কমিশন নেবে—এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি—এই কমিশন পদ্ধতি কার স্বার্থে চালু করা হয়েছে। মেশিন বসিয়ে এনবিআর সফল তো হয়নি। উল্টো কর্মকর্তা আর ব্যবসায়ীদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান ও কয়েকজন কর্মকর্তার কোনো প্রকার মাঠ যাচাই না করেই একটি মহলের স্বার্থে এই মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

ইএফডি বিষয়ে সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান সাক্ষাতকারে বিজনেস বার্তাকে জানিয়েছেন, বিকল্প খুঁজতে হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি এক সাথে টোটাল সকল ব্যবসায়ীকে অটোমেটেড করতে না পারেন, তাহলে তা ইক্টেটিভ হবে না। ধরেন, যদি একটা মার্কেটকে কাভার করেন, আরেকটা মার্কেট কাভার করতে পারি নাই। তাহলে যেটা হবে, যে মার্কেটে মেশিন আছে সেখানে কেউ যাবে না। এটা তো হয় না। আগে আপনাকে পুরোটা কাভার করতে হবে। চেয়ারম্যান বলেন, আমি জেনেক্স এর সাথে প্রাথমিকভাবে বসেছি। তাতে মনে হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা রিভাইভ করা খুব কঠিন হবে। এটা যে জায়গায় এসে ঠেকেছে, এটাকে টেনে তোলা খুব কঠিন হবে। আমাদেরকে আরো আধুনিক কিছু ভাবতে হবে। আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। দ্রুত আমরা একটা জায়গায় যাবো। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকে এটা একটু অন্যভাবে চিন্তা করতেছি। আমি যখন অর্থমন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তখন বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে, এটা সফল হওয়াটা খুব ডিফিক্যাল্ট হবে। সরকারের হাত অনেক বড়। সরকার পারবে না, ছোট্ট একটা কোম্পানি পারবে! চুক্তি কিভাবে হয়েছে—তা আমরা দেখছি।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান আবু জাহিদ পরাগ এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। যোগাযোগ করা হলেও তিনি পিআর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া হবে বলে জানান। তবে ইম্প্যাক্ট পিআর থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

***

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!