জুলাই সনদে আসবে রাজনৈতিক সংস্কার:ড.ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য একটি সনদ তৈরি করা, যা হবে জুলাই সনদ। সনদ তৈরির পর তার বাস্তবায়নের পথ নির্ধারিত হবে। গত শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আজ প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান উপদেষ্টা গভীর সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সংস্কারটা গভীরভাবে হতে হবে। আপনারা (রাজনৈতিক দল) বলবেন- আমাদের প্রস্তাবে আপনারা একমত, অথবা কোন প্রস্তাবের সংশোধনী চান বা কোন কোন প্রস্তাবে একমত হলেন না, যাতে করে একটা জুলাই সনদ তৈরি করা যায়। সবাই মিলে একমত হয়ে গেলে বাস্তবায়নের পথ বের হয়ে যাবে।’

জুলাই সনদ তৈরি করা ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সংলাপের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে প্রস্তাবের পেছনে এতগুলো দল একমত। পরে সনদ যখন হয়ে যাবে তখন সেটা প্রকাশ করা হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন রাজনৈতিক দল কতগুলো প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এই সনদকে আমরা জাদুঘরে সংরক্ষণ করবো বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের অফিসে একাধিক টেলিফোন রাখা হবে। যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো কতগুলো প্রস্তাবে আমরা সবাই রাজি আছি সেটা ঠিক করা। আমরা আপনাদের মতামতগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমাদের এটা করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,সংস্কারের বিষয়ে যদি আমরা একমত না হই, তবে আমাদের মুক্তি নেই। সারাদেশের মানুষ বলবে,’তোমরা সনদে সই করলে না, সংস্কার করলে না, আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে গেলে।’ সংস্কার একটি প্রতিদিনের অনুভব করার বিষয়, এটি আসমান থেকে আসা কোনো কিছু নয়। আমরা প্রতিদিন এটি অনুভব করছি। সেই জায়গা থেকে আপনারা নিজেদের মতামত দিন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!