জাতীয় প্রেসক্লাবে পাঁচ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ

বার্তা প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১১ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এ বিড়ি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিড়ি শ্রমিকরা আগামী বাজেটে বিড়ির উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করা, কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

WhatsApp Image 2022 05 26 at 7.34.26 PM

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম. কে. বাঙ্গালী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন(বিএসসি), সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

WhatsApp Image 2022 05 26 at 7.34.21 PM

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, “বিগত কয়েক দশক ধরে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। অথচ দেশের লক্ষ লক্ষ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্প। বিড়ি শিল্প ধ্বংসে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে সরকারের কাছে আমরা বিড়ি উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।”

WhatsApp Image 2022 05 26 at 7.34.20 PM

বক্তারা আরো বলেন, “বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তি নির্ভর। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা এবং প্রজ্ঞা বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সিগারেটে অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ আর সেখানে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ দেশীয় বিড়ি শিল্প নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলন সংগ্রামে যেতে বাধ্য হবো। একই সাথে পার্শ্ববতী দেশ ভারতের মতো বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার জোর দাবি জানান শ্রমিকরা।”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!