২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার সকাল ৯টা। রাজধানীর পিলখানার দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) দরবার শুরু হয়, যেখানে বক্তব্য রাখছিলেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। তার বক্তব্য চলাকালীন, মঞ্চের বাঁ দিকের পেছন থেকে দুজন বিদ্রোহী জওয়ান অতর্কিতভাবে মঞ্চে প্রবেশ করেন, একজন সশস্ত্র। দরবার হলের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যায় এবং কিছু সময়ের মধ্যে আরও বিদ্রোহী জওয়ানরা দরবার হল ঘিরে গুলি শুরু করেন।
একপর্যায়ে, দরবার হল থেকে কর্মকর্তাদের সারিবদ্ধভাবে বের করে আনার জন্য ব্রাশফায়ার করা হয় এবং বিডিআর প্রধান শাকিল আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। পুরো পিলখানার ভেতর ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডব শুরু হয়। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এই হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে আরও দুই দিন সময় লাগে। বিদ্রোহী জওয়ানদের নারকীয় আক্রমণে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
এ ঘটনার স্মরণে, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত ডিসেম্বরে সরকার এই ঘটনায় একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করলেও, এখনো অজানা রয়েছে যারা এই হত্যাযজ্ঞের কলকাঠি নেড়েছিল, তাদের পরিচয়।