প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে ভূমি নিবন্ধনে উৎসাহ দিতে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে উৎসে কর হার কমিয়েছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এই করহার কমিয়ে এলাকা ও জমির শ্রেণিভেদে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে বর্তমানে করহার ৮, ৬ ও ৪ শতাংশ।
সোমবার (২ জুন) দুপুর ৩টায় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট বক্তৃতায় তিনি জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব তুলে ধরেন। বাজেট উপস্থাপনের পরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন উৎসে কর বিধিমালা প্রকাশ করে।
নতুন বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা জেলার গুলশান, বনানী, মতিঝিল ও তেজগাঁও থানার আওতাধীন মৌজাগুলোর ক থেকে ঙ শ্রেণির ভূমির ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি কমিয়ে বিক্রয়মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব এলাকায় ক শ্রেণির জমি নিবন্ধনে ৮ শতাংশ অথবা ১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণে উৎসে কর দিতে হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আসছে অর্থবছরে ৬ শতাংশ বা ৯ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা পরিশোধ করতে হবে।
নতুন বিধান অনুযায়ী, খ শ্রেণির ভূমির ক্ষেত্রে প্রতিকাঠার বিক্রয়মূল্যের ৬ শতাংশ অথবা সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা উৎসে কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে এই হার ৮ শতাংশ বা ৬ লাখ টাকা, যেটি বেশি তা পরিশোধ করতে হয়। একইভাবে, গ শ্রেণির জমির ক্ষেত্রে বর্তমানে কর হার ৮ শতাংশ বা ১৫ লাখ টাকা, যেটি বেশি তা পরিশোধযোগ্য হলেও, নতুন অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ৬ শতাংশ বা ৯ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি শ্রেণির জমির নিবন্ধনের ক্ষেত্রে করহার ও করের নির্ধারিত পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে।
একইভাবে, ঢাকার ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, বংশাল, নিউ মার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজায় জমির নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বিক্রয়মূল্যের ৬ শতাংশ অথবা সাড়ে ৬ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি। বর্তমানে এসব এলাকায় এ হার ৮ শতাংশ বা ১০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি পরিশোধ করতে হয়।