** ঐক্য পরিষদ বলছে, চেয়ারম্যানের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট তৈরি হয়েছে
** চেয়ারম্যানের প্রতি অভিযোগ, জুলাই পরবর্তী নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে করফাঁকিতে সহযোগিতা করতে অডিট বন্ধ করেছেন
** ইতোপূর্বে ঘোষিত এনবিআরের চেয়ারম্যানের সাথে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা
** ঐক্য পরিষদের দাবি, সরকার রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন সবার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে
** কর-রাজস্ব নীতি প্রণয়ন, কর-রাজস্ব আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও বাস্তব কর্ম-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান পদে পূর্ণকালীন দায়িত্ব দিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে ঐক্য পরিষদ
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে চলা কর্মসূচি ১৩ দিন চলেছে। ‘এনবিআর বিলুপ্তি হবে না’-সরকারের এমন আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঐক্য পরিষদ বলছে, চার দাবির মধ্যে দ্বিতীয় দাবি ছিলো এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণ। সরকার সেই দাবি মেনে নেয়নি। চেয়ারম্যানের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও চরম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সেজন্য চেয়ারম্যানকে আগামী তিনদিনের মধ্যে (২৯ মে পর্যন্ত) অপসারণে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চেয়ারম্যানের সাথে লাগাতার অসহযোগ বা অসহযোগিতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী, সরকার সহসাই রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। সোমবার (২৬ মে) আগারগাঁওয়ে এনবিআরের নিচতলায় ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম ও দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপ-কমিশনার ও দ্বিতীয় সচিব মো. শাহাদাত জামিল বলেন, ‘জারি করা অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার শুরু থেকে প্রতিটি ধাপে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন ও চরম অসহযোগিতা করেছেন। এবং সরকারকে ভবিষ্যৎ রাজস্ব কাঠামো নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী প্রশাসনের এই কর্মকর্তা তার পূর্ববর্তী পদে থাকা অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃংখলা সৃষ্টিসহ জুলাই পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে করফাঁকি বিষয়ে সহযোগিতা করতে এনবিআরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অডিট কার্যক্রম বন্ধ করেন। এছাড়াও, নজিরবিহীনভাবে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অযৌক্তিক এবং অপরিকল্পিতভাবে ভ্যাট হার বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন। তিনি বিভিন্ন উপায়ে সরকারের সাথে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের গঠনমূলক ও সার্থক আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহের বিষয়ে সরকারকে শুরু থেকেই বিভ্রান্ত করে সরকারের সাথে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে দুরত্ব তৈরির অপচেষ্টা করে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করেছেন। তাঁর অবস্থান অতি নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রমূলক না হলে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেতো।’
চেয়ারম্যানের অপসারণের ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মো. শাহাদাত জামিল দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আগামী ২৯ মে মধ্যে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট তৈরি হওয়ায় এই দাবির ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ঘোষিত এনবিআরের চেয়ারম্যানের সাথে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত থাকবে। রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার কর-রাজস্ব নীতি প্রণয়ন, কর-রাজস্ব আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও বাস্তব কর্ম-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান পদে পূর্ণকালীন দায়িত্ব প্রদান করবেন।’
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের আরেকটি দাবির প্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, সরকার খুব শীঘ্রই রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আশা করে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর লক্ষ্যে সরকার খুব শীঘ্রই আলোচনা শুরুসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দৃশ্যমান করবে। আমাদের বিগত কয়েকদিনের এই কর্মসূচির ফলাফল হিসাবে আগামী দিনে দেশে একটি টেকসই ও জনবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
ঐক্য পরিষদ বলছে, অর্থবছরের মাঝখানে ভ্যাট ভাড়ানো বা আরো কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিয়েছেন। সেটিও চেয়ারম্যানের অপসারণেরও একটি কারণ। এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তো অর্থ উপদেষ্টারও দায়িত্ব থাকে। উপদেষ্টার নির্দেশনা ছাড়া এই ভ্যাট বাড়ানোর কথা না। তাহলে কি আপনারা উপদেষ্টার পদত্যাগও কি চাইবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমাদের যে সুনির্দিষ্ট দাবি আছে, সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ারম্যানের দায়-দায়িত্ব সর্বোচ্চ ছিলো। সেজন্য আমাদের দাবির মধ্যে শুধু চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি অর্ন্তভূক্ত করেছি।’ একই প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা বলেন, ‘বিভিন্ন স্তরে নির্দেশিত হয়ে কাজ করার ব্যাপার ঘটে। বিভিন্ন সময় এটা সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আমরা যেহেতু এনবিআরের ভেতরে, এনবিআরের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি-সেহেতু আমাদের স্তর যে পর্যন্ত যাওয়ার মনে করেছি। আমরা এনবিআরের ভেতরে থেকে আন্দোলনটা করেছি। এনবিআরের ভেতরে থাকার কারণে, সেজন্য আমরা চেয়ারম্যানের বিষয়ে বলেছি।’
মো. শাহাদাত জামিল বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা নির্ধারিত অফিস সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে কাজ করে অনিষ্পন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করবো। সে মোতাবেক প্রয়োজন অনুযায়ী, অফিস সময়ের বাইরে যতদিন প্রয়োজন অতিরিক্ত সময়ে কাজ চলবে আমরা তা করবো। আমাদের ভেবে দেখেছি, যৌক্তিক কর্মসূচির আবহে সকলস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য বিধায় এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই পরিষদের মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী ও জনবান্ধব এনবিআর গড়তে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব ও ভাবনা নিয়ে আগামীতে কাজ করবো। এরই আলোকে আমরা আগামী মাসে সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে ‘কেমন এনবিআর চাই’-শীর্ষক একটি সেমিনার বা মতবিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।’
১৩ দিনে যে ক্ষতি হয়েছে-তা পুষিয়ে দিতে অফিস সময়ের বাইরে কত সময় কাজ করা হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপকর কমিশনার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে-তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের নির্ধারিত ৯টা-৫টার বাইরেও যত সময় লাগে, ১-২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ করবো না, প্রয়োজনে যদি আমাদের ৪-৫ ঘণ্টাও কাজ করতে লাগে আমরা তা করতে প্রস্তুত আছি। তবে সেজন্য এনবিআর থেকে একটা নির্দেশনা লাগবে।
ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে উপকর কমিশনার ও দ্বিতীয় সচিব রইসুন নেসা বলেন, ‘এনবিআর বিলু্প্ত করে ১২ মে মধ্যরাতে জারি হওয়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিল ও টেকসই রাজস্ব সংস্কারসহ মোট চার দফা দাবিতে ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সারাদেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধাপে ধাপে ২৫ মে রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। চারটি মৌলিক দাবির মধ্যে রয়েছে-জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা; অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা; রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; এবং এনবিআর কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল ২৫ মে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যাতে তিনটি বিষয় ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। প্রথমত, এনবিআরকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। দ্বিতীয়ত, বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে এনবিআর শক্তিশালীকরণ এবং একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি পৃথকীকরণের কাঠামো কিরূপে প্রণীত হবে তা এনবিআর, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। তৃতীয়ত, এনবিআর শক্তিশালীকরণ এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়ন কার্যক্রম পৃথকীকরণের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সকল সংশোধনী আনা হবে। তবে প্রয়োজনীয় সংশোধনের পূর্ব পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না।’
ঐক্য পরিষদ বলছে, ‘এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে স্পষ্ট যে, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না। বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা হবে। রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের পূর্ব পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না। রাজস্ব সংস্কারের লক্ষ্যে সরকারের এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সাথে, এনবিআর, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে টেকসই রাজস্ব সংস্কারের লক্ষ্যে সরকারের এই প্রত্যয়কেও আমরা স্বাগত জানাই। এর ফলে বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক মানের স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী রাজস্ব এজেন্সি প্রতিষ্ঠার পথে যাত্রা শুরু করলো বলে আমরা মনে করি। সরকারের এই ঘোষণার ফলে আমাদের এতদিনের দাবি ও কর্মসূচির যৌক্তিকতা দেশবাসীর নিকট প্রমাণিত হয়েছে।’
রইসুন নেসা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা আজ সোমবার থেকে ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে আজ থেকে সকল দপ্তরে পূর্ণ উদ্যোমে কাজ চলছে। তবে আমাদের দ্বিতীয় দাবি অর্থাৎ এনবিআর বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। আমরা আশা করছি, সরকার খুব শীঘ্রই এই দাবির পক্ষে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ঘোষিত এনবিআরের চেয়ারম্যানের সাথে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, গতকাল রোববার পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচির ফলে করদাতা ও সেবাপ্রার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ঐক্য পরিষদ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ঐক্য পরিষদ মনে করে, তাদের এই সাময়িক ত্যাগ দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ও রাজস্ব ব্যবস্থার টেকসই সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। দেশবাসীর স্বার্থে আমরা আমাদের কর্মসূচি ধাপে ধাপে যথেষ্ট সময় দিয়ে তীব্র করতে বাধ্য হয়েছিলাম, হঠাৎ করে নয়। প্রথমে আমরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং তারপর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি এবং অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মানার কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করি। এছাড়া, আমরা লাগাতার কর্মসূচি দেইনি। বরং দেশ ও মানুষের অসুবিধা ও সাপ্লাই-চেইনের কথা মাথায় রেখে মাঝে বিরতি দিয়েছি। আর শুরু থেকেই আমরা বাজেট, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি কার্যক্রম কর্মসূচির আওতামুক্ত রেখেছি। আমাদের এমন সদিচ্ছাই প্রমাণ করে, দেশবাসীর প্রতি সেবা প্রদানে আমাদের যে অঙ্গীকার-তার প্রতি কর্মসূচি চলাকালীনও আমরা সচেষ্ট ছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই যদি আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হতো, তবে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেতো। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সমর্থন দেওয়া সকল সংগঠন ও ব্যক্তির প্রতি ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
**কর্মবিরতি প্রত্যাহার, চেয়ারম্যানের অপসারণে অনড়
**সমঝোতায় এনবিআর, কর্মসূচি স্থগিত হচ্ছে!
**ভ্যাট-কাস্টমস ও কর অফিসে কর্মবিরতি চলছে
**চার দাবিতে অনড়, প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি
**অধ্যাদেশ সংশোধন করে এনবিআর ভাগ হবে: অর্থ মন্ত্রণালয়
**সোমবার কর্মবিরতি, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
**চার দাবিতে আজও চলছে কর্মবিরতি
**চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি
**অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সভা ফলপ্রসূ হয়নি: ঐক্য পরিষদ
**‘এনবিআর নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি দূর হয়েছে’
**উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক মঙ্গলবার, কর্মসূচি স্থগিত
**অধ্যাদেশ বাতিল না হলে কলম বিরতি চলমান থাকবে
**এনবিআর বিলুপ্ত: অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
**এনবিআর সংস্কার: আলোচনায় রাজি অর্থ উপদেষ্টা
**রোববার ৬ ঘণ্টা কলম বিরতি, আলোচনায় রাজি
**তৃতীয় দিনেও চলছে কলমবিরতি
**তিন ঘণ্টার কলম বিরতি, স্থবির রাজস্ব কার্যক্রম
**এনবিআর অচলাবস্থা, সমাধানে সরকারের তৎপরতা
**‘পরিকল্পনা ছাড়া এনবিআর ভাঙা অস্থিরতা তৈরি করেছে’
**কর-কাস্টমস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনে গণপদত্যাগ
**কোন আন্তর্জাতিক মডেলে এনবিআর সংস্কার?