বার্তা ডেস্ক: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি ও মূল্যস্ফীতির এই সময়ে স্বল্প আয়ের চার হাজার কর্মীর বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে ইস্পাত কারখানা কেএসআরএম। বৃহস্পতিবার কেএসআরএম এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন বৃদ্ধির এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, গত জানুয়ারিতে প্রথম দফায় কর্মরত সব স্তরের কর্মীর বেতন বাড়িয়েছিল কেএসআরএম। মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দ্বিতীয় দফায় স্বল্প আয়ের কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছে কেএসআরএম। এর মাধ্যমে কেএসআরএম কর্মীদের আয়-ব্যয়ের পার্থক্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে। যাদের বেতন ২৫ হাজারের নিচে, সে রকম প্রায় ৪ হাজার কর্মী এ সুবিধা পাবেন। এতে প্রতিমাসে কেএসআরএমের বাড়তি খরচ হবে প্রায় কোটি টাকা।
বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। চাল-ডাল, তেল-আটা, চিনিসহ প্রায় সব ধরনের দ্রব্যের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত কয়েকমাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের ওপরে থাকছে।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম জানান, “মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় কেআসআরএম গ্রুপ প্রতিবছরই অন্তত একবার করে বেতন বাড়িয়ে থাকে। তবে এবার বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায়। আগামী বছরের শুরুতে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে তা কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, “বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষ বেশ বেকায়দায়। হঠাৎ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। অনেকের পক্ষে পরিস্থিতি সামলে চলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামলে নিতে সরকার যেমন অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, আমাদেরও যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। কেএসআরএম সেই তাড়না থেকে স্বল্প আয়ের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ‘মূল চালিকা শক্তি’ কর্মীদের প্রতি কেএসআরএমের উদার দৃষ্টিভঙ্গি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।”