নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চারটি স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ ও হবিগঞ্জের বাল্লা। চিলাহাটি, দৌলতগঞ্জ ও তেগামুখে কোনো অবকাঠামো না থাকায় এগুলো বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও ভারতীয় অংশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সড়ক না থাকায় এর কার্যক্রম স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
রবিবার ( ২ মার্চ ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে দেশের আটটি স্থলবন্দরের উপযোগিতা দেখতে একটি কমিটি গঠন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
কমিটি শর্ত সাপেক্ষে আরও চারটি স্থলবন্দর চালু রাখার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে কার্যক্রম চালু রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আয়-ব্যয় বিবেচনা করে এর কার্যক্রম আরও গতিশীল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি আরও বলেছে, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিনিয়োগ বিবেচনায় ন্যূনতম জনবল দিয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা যেতে পারে। দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরে বিদ্যমান ব্যবস্থায় রেলপথে আমদানি-রপ্তানি চালু রাখা যেতে পারে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে নির্মিত দেশের অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন বিভিন্ন স্থলবন্দরগুলো বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন।
এসব বিষয় যাচাইয়ের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সম্প্রতি এই কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। এসব স্থলবন্দর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য পরিকল্পিত ছিল।