প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেশের চামড়াশিল্পের ব্যাপারে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি। এই শিল্প দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।’ বুধবার (৩০ জুলাই) স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় চামড়াশিল্পের সংকট সমাধানে করণীয় সম্পর্কিত একটি বৈঠক আয়োজনের জন্য নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে এলডিসি থেকে উত্তরণ সম্পর্কিত মোট ১৬টি সিদ্ধান্তের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে সাভারের ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) সম্পূর্ণরূপে চালু করা, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নির্মাণাধীন এপিআই পার্কের পূর্ণমাত্রায় কার্যক্রম শুরু এবং ২০২২ সালের শিল্পনীতি হালনাগাদে গৃহীত পদক্ষেপগুলো।
শীর্ষ পর্যায়ের কমিটি
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর চারটি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মনিটরিং সেল থেকে মঙ্গলবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ লাভের পর রপ্তানিনির্ভর খাতে আর সাবসিডি বা নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না।
এই প্রেক্ষাপটে উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে করণীয় নিরূপণে পর্যালোচনা প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে গঠিত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ইতোমধ্যে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এসব সুপারিশ পর্যালোচনা এবং তা অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ১৫ সদস্যের একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।