ঘুষ লেনদেনে শিবলী রুবাইয়াতসহ ৬ আসামি

৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম,মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন ও ব্যাংকটির এসইভিপি, অডিট এন্ড ইনপেকশন ডিপার্টমেন্ট, ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুয়া বাড়ি ভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুস গ্রহণ করে এবং ভুয়া পণ্য বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানির কৌশলে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকাসহ ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

এর আগে গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক এই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার অবৈধ অর্থ দেশে আনার সুযোগ দেওয়ায় মানিলন্ডারিং ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া, দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় তারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতকে ২০২০ সালে প্রথম দফায় বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত সাধারণ বীমা করপোরেশনেরও (এসবিসি) চেয়ারম্যান ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!