দেশের গ্লাস শিল্পকে সুরক্ষা ও উৎসাহ দিতে গ্লাস তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার (৭ মে) জারি করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। নতুন এই নীতির ফলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানাগুলো ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শুল্ক ছাড়ের সুবিধা পাবে। পূর্বে এসব কাঁচামালে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপিত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্লাস তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত ডোলামাইট, লাইম স্টোন, সোডিয়াম সালফেট এনহাইড্রাস, বেইস পেইন্ট, টপ পেইন্ট, বেক পেইন্ট এবং সিলিকন রিংয়ের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। তবে এই শুল্ক ছাড় সুবিধা পেতে হলে আমদানিকারককে অবশ্যই স্থানীয় গ্লাস উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইআরসি হোল্ডার হতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ টনের বেশি কাঁচ উৎপাদন হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের গ্লাস রপ্তানি হয়, যা ২০০৫ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বাংলাদেশ গ্লাস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেইন আলমগীর বলেন, আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে উচ্চ শুল্ক ও কর দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অথচ দেশে যারা কাঁচ উৎপাদন করছেন, তারা কম খরচে উৎপাদন করেও পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি রাখছেন। এখন তাদের আবার শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা আমদানিকারকদের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে।