গডফাদারদের রোষানলে কমিশনার বেলাল চৌধুরী

বেনাপোলে ভায়াগ্রা চালান আটক

আড়াই টনের ইয়াবা চালান জব্দ করার পর চোরাকারবারিদের রোষানলে পড়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। এই চালানটির মূল্য ১৪ কোটি টাকা। ৮ আগস্ট চালানটি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বেলাল চৌধুরী দেশের ৪৩টি শুল্ক পয়েন্টে ‘রেড এলার্ট’ বার্তা পাঠান। এরপর চোরাকারবারিরা আরও ক্ষ্যাপে যায়। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান জানান, ভায়াগ্রা গডফাদারদের যোগসাজশে কিছু পত্রপত্রিকা বেলাল চৌধুরী সম্পর্কে অসত্য খবর প্রকাশ করে। যেমন- বেলাল চৌধুরীর বাড়ি বেগমগঞ্জের শরীফপুরে। কিন্তু পত্রিকা লিখেছে, তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে।

খবরে উল্লেখ করা হয়, বেলাল চৌধুরীর ছেলেমেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করছে। প্রকৃতপক্ষে তার কোনো মেয়ে নেই, দুই ছেলে ঢাকায় স্কুলে পড়ছে। লেখা হয়েছে, বেলাল চৌধুরীর শ্যালকের নামে বিপুল সম্পদ রয়েছে। বাস্তবে তার কোনো শ্যালক নেই। আরও লিখা হয়েছে, বেলাল চৌধুরী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেটি তার স্ত্রীর নামে এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কেনা। কাস্টমস কমিশনার বেলাল এই প্রতিবেদকে বলেন, সংবাদটি ৮ তারিখের আগে প্রকাশিত হলে ভালো হতো। ভায়াগ্রা চালান আটকের পর তারা জানলেন আমার অটেল সম্পদ। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের এক ভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ক’দিনের মধ্যেই এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস কমিশনারদের পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বলে মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। তাই অপপ্রচার, হুমকি-ধমকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবে না। বেলাল চৌধুরী উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ নতুন নয়। আমি গডফাদারদের ইচ্ছায় না চলার কারণে তারা বারবার আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, দুদকে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!