** বিএটিবি ৩৬টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটে যে ট্রেড মার্জিন দেখায়, বাস্তবসম্মত নয় বলছে এনবিআর
** এক প্যাকেট বেনসন বিক্রিতে খুচরা বিক্রেতাকে কমিশন দেয়া হয় মাত্র ২ পয়সা, বিএটিবি খুচরা বিক্রেতাকে বেশি দামে বিক্রিতে বাধ্য করে
** সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএটিবিকে এলটিইউর চিঠি
বিশেষ প্রতিবেদক: খুচরা বিক্রেতা থেকে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি)’ সিগারেট কিনবে ভোক্তা। তবে ভোক্তা নয়, এখন খুচরা বিক্রেতাকে এমআরপি মূল্যে কোম্পানির কাছ থেকে সিগারেট কিনতে হবে। যার ফলে বাধ্য হয়েই খুচরা বিক্রেতা লাভের আশায় ভোক্তার কাছে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করছেন। ভোক্তা থেকে বাড়তি নেয়া টাকার উপর কোনো রাজস্ব পায় না সরকার। দেশের সিগারেট বাজারের ৭০ শতাংশ দখলে রয়েছে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবি)। এই কোম্পানির ৩৬টি ব্র্যান্ডের সব সিগারেটই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের বাস্তবসম্মত ‘ট্রেড মার্জিন’ না দেয়ায় বাধ্য হয়েই তারা বেশি দামে বিএটিবির সব সিগারেট বিক্রি করছেন। অথচ চলতি অর্থবছর ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে’ সিগারেট বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের মধ্যে খুচরা বিক্রেতার লাভ বা মুনাফা থাকার কথা, যা এনবিআর নির্ধারণ করে দিয়েছে। অথচ খুচরা বিক্রেতার সেই লাভের অংশ যাচ্ছে বিএটিবির পকেটে। এনবিআরের আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) সম্প্রতি বিএটির সিগারেটের খুচরা বাজার যাচাই করে এর সত্যতা পেয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত ট্রেড মার্জিন দেয়া ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বিএটিকে চিঠি দিয়েছে এলটিইউ। সম্প্রতি এই চিঠি দেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছর বাজেটে সরকার প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য মুদ্রণ ও তা বাস্তবায়নে সিগারেট কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু জুন থেকে নির্দেশনা দেয়া হলেও কোম্পানিগুলো সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কোম্পানিগুলো প্যাকেটের গায়ে খুচরা মূল্য লিখে সিগারেট বাজারজাত করেছে। সেপ্টেম্বর থেকে অর্থাৎ চার মাস পর ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ লেখা প্যাকেটে সিগারেট বাজারজাত শুরু করা হয়।
এনবিআর সূত্রমতে, প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে’ বিএটিবির কোনো ব্র্যান্ডের সিগারেট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রি করা টাকার উপর সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, বিএটি খুচরা বিক্রেতাদের বাস্তবসম্মত ‘ট্রেড মার্জিন’ বা লাভ দেয় না। যার ফলে তাদের প্যাকেটের গায়ের দামের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করতে হচ্ছে। বাস্তবসম্মত ট্রেড মার্জিন ঘোষণা ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএটিকে চিঠি দিয়েছে এনবিআরের আওতাধীন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ), মূল্য সংযোজন কর। সম্প্রতি এই চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআরের ২০১৯ সালের আদেশ অনুযায়ী, সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদনস্থল হতে সরবরাহভিত্তিক ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যেরর (প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত)’ উপর মূসক, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করায় সে হিসেবে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যভিত্তিক অন্যান্য পণ্যের মতো সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি করার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এলটিইউ বাজার যাচাই করেছে, তাতে দেখা গেছে, প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে খুচরা বিক্রেতারা সিগারেট বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা সিগারেট কোম্পানি কর্তৃক বাস্তবসম্মত ‘ট্রেড মার্জিন’ না দেয়ার কারণে তারা প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরও বলা হয়, খুচরা বিক্রেতাদের বক্তব্য যাচাই করার জন্য বিএটির চলতি অর্থবছর দাখিল করা ৩৬টি ব্র্যান্ডের সিগারেটের ‘ট্রেড মার্জিন’ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিএটি ঘোষিত ট্রেড মার্জিনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের যে ট্রেড মার্জিন প্রর্দশন করা হয়েছে, তা খুবই কম এবং বাস্তবসম্মত নয়। এছাড়া ব্র্যান্ডভেদে ট্রেড মার্জিন এর বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। যেমন প্রিমিয়াম স্তরের বেনসন এন্ড হেজেজ ব্লু গোল্ড (২০এইচএল) এক হাজার শলাকার ট্রেড মার্জিন ২০১ টাকা, বেনসন এন্ড হেজেজ অ্যালকেমি (৭এমজি) ১৮৮ টাকা। উচ্চস্তরের জন প্লেয়ার স্পেশাল এক হাজার শলাকা ১৪১ টাকা ও জন প্লেযার গোল্ডলিফ (১২এইচএল) ১৪১ টাকা। মিডিয়াম স্তরের স্টার ফিল্ডার কিং (২০এইচএল) এক হাজার শলাকা ৪৮৫ টাকা ও স্টার সুইস (২০এইচএল) ৮৬ টাকা। নিম্নস্তরের ডারবি স্টাইল (২০এইচএল) এক হাজার শলাকা ২৪৩ টাকা ও রয়েল সিলভার (২০এইচএল) ৬৯ টাকা। পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, ২০ শলাকার এক প্যাকেট বেনসন এন্ড হেজেজ এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩১০ টাকা। যার মধ্যে ট্রেড মার্জিন রয়েছে মাত্র চার টাকা। অর্থাৎ ২০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের ট্রেড মার্জিন থাকে মাত্র চার টাকা, যা প্রতি শলাকায় হয় ২০ পয়সা। যদি ট্রেড মার্জিন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে সমানভাগে ভাগ করে দেয়া হয়, তবে তারা প্রতি শলাকা বেনসন এন্ড হেজেজ সিগারেটের জন্য ট্রেড মার্জিন পাবেন মাত্র ৭ পয়সা। অর্থাৎ ৩১০ টাকায় বেনসন এন্ড হেজেজ সিগারেট বিক্রি করে খুচরা বিক্রেতা পাবেন ১ টাকা ৪০ পয়সা। একইভাবে নিম্নস্তরের সিগারেট ডারবি ২০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করলে খুচরা বিক্রেতা পাবে মাত্র ৯৫ পয়সা, যা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। একজন খুচরা বিক্রেতা সিগারেট ক্রয়ে যে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তার বিপরীতে প্রাপ্ত ট্রেড মার্জিন মাত্র ৫০ পয়সারও কম। এত স্বল্প ট্রেড মার্জিন এর সিগারেট বিক্রি করে একজন খুচরা বিক্রেতার জীবিকা নির্বাহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফলে সে বাধ্য হয়েই এমআরপি এর অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রয় করছেন।
চিঠিতে বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর বা পাইকারী বা খুচরা বিক্রেতার জন্য কোনো রকম ট্রেড মার্জিন না রেখে খুচরা বিক্রেতার নিকট এমআরপি-তে সিগারেট বিক্রয় করছে বিএটি। ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটররা যাতে খুচরা বিক্রেতার জন্য বাস্তবসম্মত ট্রেড মার্জিন রেখে সিগারেট বিক্রি করেন, সে বিষয়টি বিএটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিঠিতে বিএটিকে তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়। তাহলো-বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেটের ট্রেড মার্জিন বাস্তবসম্মত করে সংশোধিত ঘোষণা দাখিল করা। মূল্য ঘোষণাতে খুচরা বিক্রেতার ট্রেড মার্জিন পৃথকভাবে দেখানো। ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর বা পাইকার যাতে ঘোষণার অনুযায়ী খুচরা বিক্রেতার ট্রেড মার্জিন রেখে খুচরা বিক্রেতার নিকট সিগারেট বিক্রি করেন, তা বিএটিকে নিশ্চিত করা। এছাড়াও খুচরা পর্যায়ে প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি)’ সিগারেট বিক্রয় নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
অপরদিকে, রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় সিগারেটের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে শেয়ার বিজের পক্ষ থেকে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বাজার যাচাই করা হয়েছে। এতে এলটিইউ এর বাজার যাচাই করে বেশি দামে সিগারেট বিক্রির যে তথ্য পেয়েছে, তার সত্যতা পাওয়া গেছে। একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, ৩১০ টাকার এক প্যাকেট বেনসন সিগারেটে খুচরা বিক্রেতারা কমিশন পায় মাত্র দুই পয়সা। প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা ৩১০ টাকা। কিন্তু কোম্পানির কাছ থেকে তাদের কিনতে হচ্ছে ৩০৯ টাকা ৯৮ পয়সায়। এই দুই পয়সা লাভে তাদের কিছুই হয় না। কোম্পানি আমাদের বলছে, তাদের কাছ থেকে যে দামে কেনা হচ্ছে সে দামে বাজারে বিক্রি করতে। কোম্পানি যদি আমাদের ২৮০ টাকায় বিক্রি করতো। তাহলে তারা ৩১০ টাকায় বেনসন বিক্রি করতে পারতো। কিন্তু তারা নামমাত্র কমিশন পাওয়ায় বাধ্য হয়েই বেশি দামে তাদের সিগারেট বিক্রি করতে হচ্ছে। হলিউড, ডারবি সিগারেট প্যাকেটের গায়ে মূল্য ৯০ টাকা, কোম্পানি তাদের কাছ থেকে ৯০ টাকা নেয়।
সম্প্রতি এনবিআরের সঙ্গে দেশীয় ও বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলোর প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘আপনি যদি খুচরা বিক্রেতাকে ভালো মার্জিন না দেন, তাহলে সে সারভাইভ করতে পারবেন না। বিষয়টি কোম্পানিকে নিশ্চিত করতে হবে যে খুচরা বিক্রেতা যেন ভালো মার্জিন পায়। যাতে খুচরা বিক্রেতা ওই কোম্পানির সিগারেট বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। ভোক্তার উপরে বাড়তি টাকা নিয়ে যাতে খুচরা বিক্রেতা বাড়তি বোঝা ছাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা যেন না করেন। এনবিআরও সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় যাবে বলে কোম্পানিগুলোকে জানান চেয়ারম্যান।’
এনবিআর সূত্রমতে, সিগারেটের প্যাকেটে খুচরা মূল্যের আগে ‘সর্বোচ্চ’ শব্দ লেখা নেই। আর তাতেই প্রতিদিন সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ কোটি ভোক্তার পকেট থেকে অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে, যা মাসে প্রায় ৬০০ কোটি আর বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩০০ কোটি টাকা। সিগারেট কিনতে ভোক্তার পকেট থেকে যাওয়া এ টাকার উপর প্রতিদিন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, মাসে প্রায় ৪১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বছরে প্রায় ৪৯৯৩ হাজার ২০ কোটি টাকা। সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রয় হওয়ায় সরকার এই রাজস্ব হারাচ্ছে। মূলত প্যাকেটের গায়ে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ না লেখা থাকায় সিগারেটের বাজারে গত কয়েক বছর ধরে এই অরাজকতা সৃষ্টি হয়ে আসছে। এনবিআরের এলটিইউ নজরে আসার পর তারা গত তিন বছর আগে বাজার পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে এর সত্যতা পায়। পরে বিষয়টি এনবিআরের নজরে আনা হলে চলতি অর্থবছর সিগারেটের গায়ে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো নির্দেশ দেয় এনবিআর। কিন্তু নির্দেশনার পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং কোম্পানিগুলো বিশেষ করে বিএটি কৌশলে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সিগারেট বিক্রির ক্ষেত্রে ‘ট্রেড মার্জিন’ কমিয়ে দেয়। যার ফলে প্যাকেটের গায়ের দামের চেয়ে বেশি দামে খুচরা বিক্রেতারা সিগারেট বিক্রি করছে।
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বিষয়ে এনবিআরের একজন সদস্য বলেন, খুচরা বিক্রেতার কমিশন, কোম্পানির উৎপাদন খরচ ও কোম্পানির মুনাফা বা লাভ হিসেব করেই সিগারেটের খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এনবিআর। অর্থাৎ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) ভোক্তাকে সিগারেট কিনতে হবে। অথচ সরকারের বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপিতে যেখানে ভোক্তাদের সিগারেট কেনার কথা, সেটা কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের। বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতা সিগারেটের শলাকা প্রতি এক থেকে দেড় টাকা বেশি নিতে হচ্ছে। যার উপর সরকার কোনো রাজস্ব পায় না। আইন অনুযায়ী এনবিআর খুচরা বিক্রেতাকে এমআরপিতে সিগারেট বিক্রিতে বাধ্য করতে পারে না। তবে আইন অনুসারে কোম্পানিকে বাধ্য করা যায়, যাতে খুচরা বিক্রেতাকে ভালো মার্জিন দেয়। সেজন্য এলটিইউ দেশের সিগারেট খাতের সবচেয়ে বড় কোম্পানি বিএটিকে চিঠি দিয়েছে।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম এর ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বক্তব্যের বিষয়ে লিখে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে দেয়া হলে তিনি সিন করেন। তবে কোনো জবাব দেননি।
*** সূত্র: দৈনিক শেয়ার বিজ (১৫ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার)