‘খুচরা’ আর ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’র ফাঁকে রাজস্ব ফাঁকি

  1. ## নিম্নস্তরে ভোক্তা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ কোটি ও মাসে প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে
  2. ## প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি ও মাসে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার সিগারেট বিক্রিতে রাজস্ব পায় না সরকার
  3. ## মূসক আইন ও বিধিতে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ মুদ্রিত থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো এসআরওতে কেবল ‘বিক্রয় মূল্য বা খুচরা মূল্য’ লিখিয়ে নিয়েছে
  4. ## প্রতিদিন ১৩.৬৮ কোটি, মাসে ৪১০.৪০ কোটি ও বছরে ৪৯৯৩.২ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

রহমত রহমান: সিগারেটের প্যাকেটে খুচরা মূল্যের আগে ‘সর্বোচ্চ’ শব্দ লেখা নেই। আর তাতেই প্রতিদিন সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে, যা মাসে প্রায় ৬০০ কোটি আর বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩০০ কোটি টাকা। সিগারেট কিনতে ভোক্তার পকেট থেকে যাওয়া এ টাকার ওপর প্রতিদিন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১৩.৬৮ কোটি, মাসে প্রায় ৪১০.৪ কোটি এবং বছরে প্রায় ৪৯৯৩.২ কোটি টাকা। সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রয় হওয়ায় সরকার এই রাজস্ব হারাচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, মূসক আইন ও বিধিতে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ লেখা থাকলেও সিগারেট কোম্পানিগুলো প্রভাব খাটিয়ে এসআরওতে ‘বিক্রয় মূল্য বা খুচরা মূল্য’ লেখিয়ে নিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ শব্দ লিখছে না। এতে একদিকে ভোক্তা ঠকছে, অন্যদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এসআরও সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

Cigarette LTU 01

সূত্র জানায়, ‘সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রয় হচ্ছে’-এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি বাজার পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে এলটিইউ। এতে অভিযোগের সত্যতা পায় এলটিইউ। ‘নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রি হওয়ায় রাজস্ব ক্ষতি ও মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে’। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সম্প্রতি এলটিইউ’র সভা কক্ষে এলটিইউ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, এলটিইউতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবি) ও ইউনাইটেড টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড (জেটিআই) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। এ দুটি প্রতিষ্ঠান বিদায়ী অর্থবছর প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ৭২০ কোটি মূল্যের তামাক পাতা ও সিগারেট রপ্তানি করেছে। মূসক খাতে আহরিত রাজস্বের প্রায় ৩০ শতাংশ সিগারেট খাত থেকে আসে।

সিগারেট খাতের রাজস্ব আদায় বিষয়ে মূসক আইন, ২০১২-এর ধারা ৫৮-এর উপধারা (২) বলা হয়েছে, ‘উক্ত বিশেষ পরিকল্পনা দ্বারা বোর্ড উক্ত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং উক্ত মূল্য মূসক এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপযোগ্য মূল্য হিসাবে গণ্য হইবে।’ আইনের এ ধারা বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের ১৩ জুন এনবিআর এসআরও জারি করে। সেই এসআরও অনুযায়ী ‘উৎপাদিত বা আমদানিকৃত তামাকযুক্ত সিগারেটের মূল্য নির্ধারণসহ উহার প্যাকেটে স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল ব্যবহার পদ্ধতি বিধিমালা, ২০১৯ জারি করা হয়। বিধিমালার বিধি-৫-এর উপবিধি (১)-এ সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী কয়েকটি এসআরও জারি করা হয়, যাতে স্তরভিত্তিক সিগারেট, বিড়ি, জর্দা এবং গুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

Cigarette LTU 02

আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরের ১ জুনের এসআরও অনুযায়ী তামাকযুক্ত সিগারেটে চারটি স্তরে খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। এর মধ্যে অতি উচ্চস্তরের ১০ শলাকা সিগারেট প্যাকেটের খুচরা মূল্য ১৪২ টাকা, উচ্চস্তর ১১১ টাকা, মধ্যমস্তর ৬৫ টাকা ও নি¤œস্তর ৪০ টাকা। সে অনুযায়ী অতি উচ্চস্তরের প্রতি শলাকার মূল্য ১৪ টাকা ২০ পয়সা, উচ্চস্তরের প্রতি শলাকা ১১ টাকা ১০ পয়সা, মধ্যমস্তর প্রতি শলাকা ৬ টাকা ৫০ পয়সা ও নিম্নস্তরের প্রতি শলাকা ৪ টাকা। কিন্তু খোলাবাজারে নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি ও ভোক্তার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

সভায় বলা হয়, বাজার পর্যবেক্ষণ ও যাচাইয়ে দেখা গেছে, অতি উচ্চস্তরের প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। অর্থাৎ প্রতি শলাকা সিগারেটের বাজার মূল্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৮০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৮০ পয়সা বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া উচ্চস্তরের প্রতি শলাকায় ৯০ পয়সা, মধ্যমস্তরে ৫০ পয়সা ও নিম্নস্তরে ১ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে প্রতি স্তরের সিগারেট বিক্রয় হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে ভোক্তার ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে এবং ভোক্তা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

LTU

সভায় আরও বলা হয়, সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্তরভিত্তিক উপকরণের নাম ও ব্যবহারের পরিমাণসহ প্রফিট মার্জিন উল্লেখ করে এলটিইউতে মূল্য ঘোষণাপত্র দাখিল করে। যাতে ট্রেড মার্জিনও অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রয় করার সুযোগ নেই। সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অঙ্গন থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর প্রযোজ্য কর পরিশোধ করে সিগারেট সরবরাহ করায় বিদ্যমান মূসক আইন অনুযায়ী উৎপাদনকারী পর্যায়ে রাজস্ব সরকার পাচ্ছে। কিন্তু খোলাবাজারে প্রতি শলাকা সিগারেট বেশি মূল্যে বিক্রয় হওয়ার কারণে একদিকে ভোক্তা অবৈধ মূল্য বৃদ্ধির চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, অপরদিকে খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে সেই অতিরিক্ত মূল্যের ওপর প্রযোজ্য রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে।

Cigarette LTU 03

সভায় উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, সিগারেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্যের চেয়ে খুচরা পর্যায়ে প্রতি শলাকা সিগারেট বেশি মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে তাদের দপ্তরে বিএটিবি’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা অধিদপ্তরকে জানিয়েছে, প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত মূল্য হলো খুচরা বিক্রেতার ক্রয় মূল্য। কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তরের আইনগত অভিমত হলো, বিএসটিআই’র পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১-এর বিধি-৫-এর উপবিধি (৬) অনুযায়ী মোড়কজাত পণ্যের মোড়কের গায়ে ‘সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য’ মুদ্রিত থাকতে হবে এবং সেটিই হচ্ছে ভোক্তা মূল্য যা সিগারেট কোম্পানিগুলো মানছে না। খোলাবাজারে ১০ পয়সা, ২০ পয়সার সমতুল্য বিনিময় মুদ্রা প্রচলিত নেই। দেশে বর্তমানে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সার বিনিময় করা যায় না। এসআরও অনুযায়ী, অতি উচ্চস্তরের এক শলাকা সিগারেটের মূল্য ১৪ টাকা ২০ পয়সা, উচ্চস্তরের এক শলাকা সিগারেটের মূল্য ১১ টাকা ১০ পয়সা, মধ্যমস্তরের এক শলাকা সিগারেটের মূল্য ৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ খুচরা শলাকা ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিময় মূল্য প্রদান করতে না পারার অজুহাতে খুচরা বিক্রয়কারী অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের সুযোগ পায়।

অপরদিকে, বিদ্যমান মূসক আইনের আওতায় জারি করা এসআরও অনুযায়ী, সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সিগারেটের প্যাকেটে খুচরা মূল্য মুদ্রণ করলেও ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য মুদ্রণ না করায়’ খুচরা বিক্রির সময় মুদ্রিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম আদায়ের ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের করণীয় কিছু থাকে না। তবে এনবিআর হতে এসআরও সংশোধন করে সিগারেটের প্যাকেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হলে, সেই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রির বিষয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ভ্যাট অফিসসমূহ এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদর্শী দল নিবারক কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে। ফলে একদিকে রাজস্ব প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে ভোক্তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সিগারেট কিনতে পারবেন।

অপরদিকে, এলটিইউ এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে সিগারেট-সংক্রান্ত এসআরও সংশোধন করে ‘বিক্রয় মূল্য বা খুচরা মূল্য’ শব্দসমূহের পরিবর্তে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছে।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছর (৩৬৫ দিন হিসাবে) মোট ৭ হাজার ১৮৭ কোটি শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়াম বা উচ্চস্তরে ৫৯৩ কোটি, উচ্চস্তরে ৫৬৭ কোটি, মধ্যমস্তরে ৬০৩ কোটি ও নি¤œস্তরে ৫ হাজার ৪২৪ কোটি শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, একদিনে সিগারেট বিক্রি হয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ শলাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের সিগারেট বিক্রির সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সিগারেট বিক্রির হিসাবের তুলনা করে দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে প্রিমিয়াম স্তরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি শলাকা ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮০ পয়সা বেশি বিক্রি হচ্ছে। একদিনে প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট বিক্রি হচ্ছে এক কোটি ৬২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৫ শলাকা এবং ৩০ দিনে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৬০ শলাকা। ৮০ পয়সা হিসেবে বাড়তি প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা আর ৩০ দিনে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা সিগারেট কোম্পানি ভোক্তা থেকে বেশি নিচ্ছে। এক টাকা ৮০ পয়সা হিসেবে একদিনে প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ও ৩০ দিনে প্রায় ৮৮ কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

Cigarette LTU 04

একইভাবে উচ্চস্তরে একদিনে এক কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৬ শলাকা ও ৩০ দিনে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৩৮০ শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়। ৯০ পয়সা হিসাবে প্রতিদিন উচ্চস্তরে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ৩০ দিনে প্রায় ৪২ কোটি টাকা সিগারেট কোম্পানি বেশি নিচ্ছে। মধ্যম স্তরে একদিনে এক কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৫৪৭ শলাকা ও ৩০ দিনে ৪৯ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৪১০ শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়। ৫০ পয়সা হিসাবে প্রতিদিন মধ্যমস্তরে প্রায় ৮২ লাখ টাকা ও ৩০ দিনে প্রায় ২৫ কোটি টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। নিম্নস্তরে প্রতিদিন সিগারেট বিক্রি হয় ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ২ হাজার ৭৩৯ শলাকা ও ৩০ দিনে ৪৪৫ কোটি ৮০ লাখ ৮২ হাজার ১৭০ শলাকা সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। নিম্নস্তরে এক টাকা হিসাবে একদিনে প্রায় ১৫ কোটি ও ৩০ দিনে প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা বাড়তি নিচ্ছে সিগারেট কোম্পানি। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা ও মাসে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বিক্রি করা সিগারেটের ওপর রাজস্ব পায় না সরকার।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নস্তরে সিগারেটে (১০ শলাকা) ৫৭ টাকা, মধ্যমস্তরে ৬৫ টাকা, উচ্চস্তরে ১১১ টাকা ও অতি উচ্চস্তরে ৬৫ টাকা সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। সঙ্গে রয়েছে ১৫ টাকা ভ্যাট ও এক শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন নি¤œস্তরে বাড়তি বিক্রি করা সিগারেট সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং অতি উচ্চ, উচ্চ ও মধ্যমস্তরে হারাচ্ছে প্রায় দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর চার স্তরের সিগারেট থেকে মাসে প্রায় ৪১০ কোটি ৪০ লাখ এবং বছরে প্রায় ৪ হাজার ৯৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, এলটিইউ থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। সিগারেট খাত থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়। সেক্ষেত্রে এ খাতের কোম্পানিগুলো প্রতিদিন অতিরিক্ত যে টাকা নিচ্ছে, তা থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না। তথ্যগুলো যাচাই ও পর্যালোচনা করে এনবিআর এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সূত্র-দৈনিক শেয়ার বিজ (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২)

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!