রাজশাহী জেলার আলু চাষীরা কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ রোববার মোহনপুর উপজেলার মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কৃষকরা।তারা পূর্বের মূল্য রাখার জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।প্রতিবাদ চলাকালে অনেক কৃষককে আহাজারি করতে দেখা গেছে।
কৃষকরা জানায়,এবছর আলু চাষ করতে গিয়ে কয়েকগুণ উৎপাদন খরচ পড়েছে।বীজ,সার,কীটনাশকসহ অন্যান্য উপাদানের দাম গতবছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।এখন আবার কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কৃষকরা আরও জানান,গতবছর কোল্ড স্টোরেজে ৭০ কেজির আলু বস্তার ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা,যা এবার বাড়িয়ে ৫৬০ টাকা করা হয়েছে।অর্থাৎ,প্রতি কেজির ভাড়া ৪ টাকা থেকে বেড়ে ৮ টাকা হয়েছে।
মোহনপুর মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলু চাষী ইউনুস আলী বলেন,ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে ভাড়া কমিয়ে পূর্বের ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে আমরা আবার আমাদের কর্মসূচি পালন করবো।
তিনি আরও বলেন,তিনি ১৮০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন,যার কেজিপ্রতি খরচ হয়েছে ২২ টাকা, কিন্তু বর্তমানে পাইকারি দাম ১৪ টাকা।এর মধ্যে কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক এবং কৃষকরা এটি মেনে নেবে না।
ইউনুস আলী বলেন,কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের টার্গেট হচ্ছে কৃষকরা আলু না রাখতে পারার কারণে দাম কমে গেলে তখন তারা কম দামে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখবে এবং পরে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করবে।এটা কখনো হতে দেওয়া হবে না।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার আলু চাষী মো.লিমন আহমেদ বলেন,রাজশাহীতে ৩৬টি কোল্ড স্টোরেজে ৯২ লাখ বস্তা আলু রাখা যায় এবং প্রতি বস্তায় ২৮০ টাকা লাভ হলে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা এ মৌসুমে ২৫৭ কোটি টাকা অর্জন করবেন।তিনি এই সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানান।