কৃষিপণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

কৃষি ও শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্যাট না কমালে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই ঘণ্টার মানববন্ধন শেষে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘বৈষম্যমূলক ভ্যাট ও কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি’ আয়োজিত আড়াই শতাংশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা বলেন, অর্থ বছরের মাঝপথে এসে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ডিজেল ইঞ্জিন মটরপাম্প, অগভীর ও গভীর পাম্প (সাবমারসিবল পাম্প) শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশের ওপর ৫ গুণ কর ও ভ্যাট বৃদ্ধি করায় আমরা ব্যবসায়ীরা এবং কৃষক সমাজ হতাশ ও উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোনোআলাপ-আলোচনা ছাড়াই গত ৯ জানুয়ারি এই কর বৃদ্ধিসংক্রান্ত গেজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছি। এমন অবস্থায় সরকার কর ও ভ্যাট ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।

বৈষম্যমূলক করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা জানান, কৃষিপণ্য আমদানিকারকদের জন্য আগে ভ্যাট-মুক্ত থাকা পণ্যের বিক্রয়ে এখন ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর থাকায় ব্যবসায়ীদের মোট ৪৮৫ শতাংশ অতিরিক্ত ট্রেজারি পেমেন্ট করতে হচ্ছে, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা প্রায় অসম্ভব।তিনি বলেন, সরকার সবসময় কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহিত করে এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখে। আমাদের আমদানিকৃত পণ্যের প্রধান গ্রাহক কৃষক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে।

সংগঠনটির সদস্য সচিব শহীদুল হক শহীদ জানিয়েছেন, সরকার ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।তবে দাবি পূরণ না হলে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও সমাধান না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!