কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনা করা হবে

** পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সময় লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কোনো কারণে কারো অপ্রদর্শিত টাকা থাকলে সেগুলো প্রদর্শনের একটা বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তা পুনর্বিবেচনা করা হবে। এটি করে ফেলে আমরা খুব ভালো জিনিস করে ফেলেছি এমনটি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
Budget After Press 4
একই প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, গত বছর (আগস্ট ২০২৪) থেকে কালো টাকা বৈধ করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এবারও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। তবে তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে কোনো ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে কর দিয়ে সেটি বৈধ করতে পারবেন। একই সঙ্গে যদি কেউ নিজের নামে থাকা জমিতে অপ্রদর্শিত অর্থে বাড়ি নির্মাণ করেন, তাহলে তাকে দ্বিগুণ হারে কর দিতে হবে। এই অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলেই তার বিনিয়োগ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। এটা মূলত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নয়। বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত কর দিয়ে যেকোনো অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটা পথ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত সম্পদ বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখলেও—সেজন্য করের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এজন্য কর বাড়ানো হয়েছে পাঁচগুণ পর্যন্ত।
Budget After Press 3
অপরদিকে, ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যারা অর্থপাচার করে তারা খুবই বৃদ্ধিমান। বিভিন্ন ধাপে ধাপে অর্থপাচার করা হয়েছে। পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা অত সহজ হবে না। সময় লাগবে, তবে সরকারও চেষ্টা করে যাচ্ছে। ‘পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা—অত সহজ হবে না। সময় লাগবে তবে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
Budget After Press 1
তিনি বলেন, যারা অর্থপাচার করে তারা খুবই বৃদ্ধিমান। বিভিন্ন ধাপে ধাপে অর্থপাচার করা হয়েছে। পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা অত সহজ হবে না। সময় লাগবে, তবে সরকারও চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাইজেরিয়ার তাদের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ২০ বছর লেগেছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আসলে হয়তো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তার প্রয়োজন হতো না। আইএমএফের কাছে যেতে হতো না। অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!