২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভা কক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পক্ষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পাস করেছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ শিক্ষার্থী। ফলাফলে পাসের গড় হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩.০৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
অপরদিকে, পাসের হারে শীর্ষ রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ।এছাড়া কারিগরিতে পাসের হার ৭৩.৬৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭২.০৭ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৬৮.০৯ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৬৮.৫৭ শতাংশ, ঢাকা বোর্ডে ৬৭.৫১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৬৭.০৩ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৬৩.৬০ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৮.২২ শতাংশ এবং বরিশাল বোর্ডে ৫৬.৩৮ শতাংশ। চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হয়। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন। তবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুপস্থিতির সংখ্যা মিলিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর যে শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসেছেন তারা ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়েছিলেন। গত বছরের মতই এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। রেওয়াজ ছিল ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার। কোভিড-১৯ মহামারির জেরে তিন বছর ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। আর এবার গণঅভ্যুত্থানের পর দুই মাস পিছিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
** এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমমানের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন পাস করেছে।
** এর মধ্যে নয়টি সাধারণ বোর্ডে ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
** এবারও পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা- দুদিক দিয়েই এগিয়ে আছে মেয়েরা।
** ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের মধ্যে ৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ পাস করেছে।
** মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন।
** আর ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন।
** আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ, অর্থাৎ পাঁচে পাঁচ পাওয়া ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ হাজার ৬১৬ জন ছাত্রী এবং ৬৫ হাজার ৪১৬ জন ছাত্র।