রবিবার (২৯ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। শনিবার এনবিআরসহ দেশের সব শুল্ক-কর কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন পালন করা হয়। রোববারও রাজধানীসহ সারাদেশে এই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি গতকালের তুলনায় কম দেখা গেছে।
প্রধান ফটকে প্রবেশে শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে, পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মকর্তারা ভবনে প্রবেশ করছেন। পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা যদিও অবস্থান নিয়েছেন, তাদের সংখ্যা কম। গতকাল কেউ ভবনের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি, কিন্তু আজ প্রধান ফটকের ভেতরের বটতলায় কর্মকর্তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘সকাল ১০টা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ভবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অফিস সময় সকাল ৯টা হওয়ায় এখনও কেউ কেউ আসছেন। পরিচয়পত্র যাচাই করে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, দিনের বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার কর্মকর্তারা আন্দোলনে যোগ দেবেন। গতকালও দেশের বিভিন্ন শুল্ক-কর কার্যালয় থেকে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং এসব স্থান থেকে শুল্ক-কর আদায় কার্যত থেমে গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ গতকাল দুপুরে ঘোষণা দিয়েছে, আজও ‘শাটডাউন’ এবং ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তবে তাদের শর্ত—আলোচনার আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তাদের অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান রাজস্ব খাতের সংস্কার কার্যক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতামলাকে উপেক্ষা করছেন এবং আন্দোলনকারীদের দমন-নিপীড়নের পথে হাঁটছেন।