একই দিনে আইসিডিগামী কনটেইনার সরানোর নির্দেশ

চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও অফডকগামী কনটেইনারগুলো একই দিনে নির্ধারিত ডিপোতে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে কোনো চালানের সব কনটেইনার প্রথম দিনে স্থানান্তর সম্ভব না হলে দ্বিতীয় দিনের মধ্যে অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে।

এনবিআরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো চালানের সব কনটেইনার অফডকে স্থানান্তরিত হওয়ার পরই চার্জ আরোপ করা হবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বা ধারণক্ষমতার সীমাবদ্ধতা দেখা দিলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনারের সিদ্ধান্তে ‘ডুয়াল ডেলিভারি’র অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

১৪ আগস্ট এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক, রপ্তানি নীতি ও বন্ড) মো. আল আমিন এ বিষয়ে তিন দফা নির্দেশনা জারি করে একটি সার্কুলার প্রকাশ করেন। সার্কুলারটি আইসিডি মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে বর্তমানে ৬৫ ধরনের আমদানি পণ্য বেসরকারি আইসিডি বা অফডকে স্থানান্তর করা হয়। তবে এনবিআরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা প্রায়ই আইসিডি কার্যক্রমে বিলম্ব, জটিলতা ও সীমিত ধারণক্ষমতা নিয়ে অভিযোগ করছে। এসব সমস্যা নিরসন ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৫ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এক বৈঠকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা আইসিডির ধারণক্ষমতা সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন। সংগঠনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম ও মহাসচিব শওকত আলী এনবিআরকে জানান, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় আইসিডিগুলোতে ডেলিভারিতে বিলম্ব হচ্ছে, যদিও তারা অধিক পণ্য খালাসের অনুমতি চাইছে। এ সময় তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই সরাসরি ডুয়াল ডেলিভারির অনুমোদন চান। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন, আইসিডি মালিকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে তাদের প্রকৃত ধারণক্ষমতা মূল্যায়ন করা হবে। বর্তমানে চট্টগ্রামে ১৯টি বেসরকারি আইসিডি আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডল করছে।

নতুন নির্দেশনা নিয়ে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, বন্দরে কনটেইনার খালাসের পর সাধারণত চার দিন সময় পাওয়া যায় সেগুলো ডিপোতে আনার জন্য। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে স্থানান্তর শেষ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। বন্দর ফাঁকা থাকলে তা সম্ভব হলেও জটিল পরিস্থিতিতে এই সময়সীমা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।