নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগের কথা। তখন চীনের সম্রাট ছিলেন ‘শেননং’। হঠাৎ করেই তার গরম পানির পাত্রে উড়ে এসেছে একটি চা পাতা। সেই থেকেই পৃথিবীতে চায়ের আবির্ভাব। আর ভারত বর্ষে চা প্রবেশ করে ১৮১৮ সালে। বাংলাদেশে চায়ের প্রচলন শুরু হয় ১৮৫৫ সালের দিকে। সে সময় ব্রিটিশরা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে চায়ের গাছ খুঁজে পেয়েছিলেন। তার দুই বছর পর সিলেটের মালনী ছড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চায়ের চাষ শুরু হয়।
সে সময় চা পান করা হতো শুধু চা পাতা দিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে মসলা। বদলাতে থাকে রঙ। এখন তো হলুদ, নীল, সবুজসহ আরও অনেক ধরনের চা পাওয়া যায়। তবে তন্দুরি চা খেয়েছেন কেউ? বেশির ভাগের উত্তরই হবে না। এই ‘না’-কে হ্যাঁ বানানো যায় খুব সহজেই।
তন্দুরি চা তৈরি করতে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। এক কাপ দুধ, দেড় কাপ পানি, দুই টেবিল চামচ চা পাতা, দুই চামচ চিনি, এক টেবিল চামচ লেবু পাতা। এক টেবিল চামচ পুদিনা পাতা, স্বাদ মতো চা মসলা আর তন্দুরির জন্য একটি মাটির পাত্র।
যেভাবে তৈরি হয় তন্দুরি চা: অল্প আঁচে মাটির পাত্রটিকে মিনিট দশেক আগুনে বসিয়ে রাখুন। পানি কিছুটা ফুটে এলে চিনি, চা পাতা, লেবু পাতা, পুদিনা পাতা ও মসলা মিশিয়ে দিন। পানি সম্পূর্ণ ফুটে এলে তাতে দুধ মিশিয়ে আরও দুই মিনিট আঁচে বসিয়ে রাখুন। তারপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে চা একটি কাচের পাত্রে ঢালুন। এবার সাঁড়াশি দিয়ে ধরে গরম মাটির পাত্রটি আরও একটি বড় মাটির পাত্রে রাখুন। মাটির পাতিলের ভেতর পুনরায় চা ঢেলে দিন এবং সেই অবস্থায় আরও কিছুক্ষণ ফোটান। এবার তাতে এক চিমটে মসলা যোগ করে গরম গরম পরিবেশন করুন।
চায়ের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে আপনিও যদি হারাতে চান, নিতে চান জাদুকরী স্বাদ তাহলে আপনাকে ‘পাতিরা চা ঘরে’ আসতে হবে। শহরের কোলাহল থেকে একটু ভিন্ন, মনোরম পরিবেশে খোলা আকাশ আর বিশুদ্ধ বাতাস জোৎনার আলোয় পূর্ণিমার চাঁদ, নদীর জলে দোলে, মনোমুগ্ধ বাহারি সাজে সাজানো ‘পাতিরা চা ঘর’। পূর্বাচল নতুন শহর ১নং সেক্টর বালু নদীর পাড়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পুরস্কার প্রাপ্ত “পাতিরা চা ঘরে” প্রিয়জন বা পরিবার নিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।
পাতিরা চা ঘডর এর স্বত্বাধিকারী মিঠু ও পলাশ দুই বন্ধু মিলে নিজেদের বেকারত্ব দূর করতে ১০ বছর পূর্বে টং দোকান দিয়ে যাত্রা শুরু করেন । বিজনেস বার্তার সাথে আলাপে তারা জানিয়েছেন তাদের সাফল্যের গল্প। পাতিরা চা ঘরে এখন প্রায় অর্ধ -শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহরের নান্দনিক এই চা শপের একাধিক শাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ দেশের বেশ কিছু মেলায় পাতিরা চা ঘরকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এই শহরে জাদুর চা মানে “পাতিরা চা ঘর” যেন কাপ ভর্তি ভালোবাসা। “পাতিরা চা ঘরে” তন্দুরি চাসহ বিশেষ ধরনের বেশ কিছু চায়ের পাশাপাশি আপনি পেয়ে থাকবেন হাঁসের মাংস, হরেক রকমের ভর্তা, চাপটি পিঠা, চিতই পিঠা ইত্যাদি। মোবাইল: ০১৪০৪৮১১১৫/ ০১৬১২১২৮৮১১