এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া হয়েছে ৯১ লাখেরও বেশি পশু। তবে কোরবানিযোগ্য প্রায় ৩৩ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে গেছে। কোরবানিকৃত পশুর মধ্যে সংখ্যায় গরু ও ছাগল ছিল সবচেয়ে বেশি। এ তথ্য মঙ্গলবার (১০ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে দেশে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং অন্যান্য পশু ছিল ৯৬০টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের কোরবানির পশুর সংখ্যা নির্ধারণে স্তরায়িত দৈব নমুনায়ন (স্ট্র্যাটিফায়েড র্যান্ডম স্যাম্পলিং) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ছোট, মাঝারি ও বড় তিন ধরনের গ্রাম থেকে অন্তত ১ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে এই হিসাব প্রস্তুত করা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়নি। কারণ, এ বছর কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। অবিক্রীত এসব পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা বিভাগভিত্তিতে ভিন্নতা ছিল। সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে, যেখানে সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে—২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি। ঢাকায় কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি; চট্টগ্রামে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি; খুলনায় ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি; বরিশালে ৪ লাখ ৭৮৩টি; রংপুরে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি এবং ময়মনসিংহে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি।