২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময় ওঠানামা থাকলেও শেষ প্রান্তিকে শক্তিশালী রপ্তানির ফলে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের পোশাক রপ্তানি ১৯.৭৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা ২০২৩ সালের ১৮.৮৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সবশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের তুলনায় চীনের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৬১ শতাংশ। একই সময়ে, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে ১২.৪১ শতাংশ এবং ২০.৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৪ সালে ২৬.০৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা ২০২৩ সালের ২৫.৪০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালে তুরস্কের পোশাক রপ্তানি ইইউতে ৬.৬৪ শতাংশ কমে ১০.০৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। একই সময়ে, ভিয়েতনাম ৪.২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৪.৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে। পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার রপ্তানি যথাক্রমে ৩.৭৯ বিলিয়ন এবং ৪.২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
২০২৪ সালে ভারত ইইউতে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১.৯৭ শতাংশ বেশি। সংশ্লিষ্টদের মতে, মূল্য সংযোজিত পোশাক উৎপাদন, শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা মান অনুসরণ এবং নির্মাতা ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাসহ একাধিক কারণ এই স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এসব উন্নয়ন ক্রেতাদের আস্থা বাড়িয়েছে, ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও অনুকূল করেছে এবং রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিষয়টিকে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে রপ্তানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতাদের আস্থা পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং বাংলাদেশে সোর্সিং কার্যক্রম বাড়ছে, যা রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, সামনে কাজের অর্ডার আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, ফলে এবছরও গতবারের মতো প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা সম্ভব হবে।
**ছয় মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১৩%
**ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি নির্ভরতা আরও বেড়েছে