** ২৬ জুন বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিরা বলছেন, তারা কোনো চিঠি পাননি; অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি
** চেয়ারম্যানের অপসারণ ছাড়া সংস্কার আলোচনা সম্ভব নয়, সেজন্য ঐক্য পরিষদের এক দফা দাবি হলো চেয়ারম্যানের অপসারণ
** দাবি আদায়ে ২৮ জুন শনিবার থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে ঐক্য পরিষদ
** আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কমপ্লিট শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকলেও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে
** ২৮ জুন ‘মার্চ-টু-এনবিআর’ নামে ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঐক্য পরিষদ। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আজ থেকে সারাদেশের সব কাস্টম হাউস, ভ্যাট কমিশনারেট ও কর অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে
** ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে কমিশনার ও এনবিআর সদস্যদের আহ্বান জানানো হয়েছে
** এনবিআরের অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে
** এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে সরকারের অবস্থান বদল হয়েছে, যা সরকারের প্রতিশ্রুতির সাথে প্রহসন বৈ কিছু নয়-ঐক্য পরিষদ
** একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইন্ধনে এনবিআরে আন্দোলন হচ্ছে-অর্থ উপদেষ্টার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঐক্য পরিষদ
অর্থ উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দেয়নি এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা আগামীকালের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ একই সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ চার দাবিতে ২৮ জুন শনিবার থেকে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের’ পাশাপাশি ‘মার্চ-টু-এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সারা দেশের আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগদান করবেন। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে আগারগাঁও এনবিআরের নিচে সংবাদ সম্মেলনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, এনবিআরের বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সচিবালয়ে ঐক্য পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এছাড়া এনবিআর থেকে সংস্কার বিষয় এগিয়ে নিতে ছয় সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয় জানিয়ে ঐক্য পরিষদকে চিঠিও দিয়েছে। যদিও ঐক্য পরিষদের দায়িত্বশীলরা বলছেন, তাঁরা কোনো চিঠি পাননি।
অপরদিকে, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ঢাকার ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করা হয়। এ সময় ‘দফা এক, দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’—এমন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বলেন, ‘সরকার ২৫ মে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনবিআরকে বিলুপ্ত না করে বরং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করার অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আর এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদেরকে আগামীকাল ২৬ জুন বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠিতব্য আলোচনার জন্য আহ্বান করেননি। কর্মসূচি পালনকারী এনবিআর ঐক্য পরিষদ থেকে কোনো প্রতিনিধি এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ না রাখায় সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনবিআরের একজন বিতর্কিত সদস্যের সই করা সভার নোটিশ এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই নোটিশের মাধ্যমে আগামীকাল অর্থ উপদেষ্টার সাথে সভার প্রস্তুতি গ্রহণ করার লক্ষ্যে আজ (বুধবার) সকাল ১০ টায় একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। তবে নোটিশটি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে পাঠানো হয়নি। ধরে নেয়া যায়, একদিন আগের তারিখ দিয়ে জারি করা এই সভার নোটিশটি একটি আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। সেজন্য ঐক্য পরিষদ কর্তৃক প্রত্যাখাত কমিটির সাথে সভা করার কোন সুযোগ নেই মর্মে ঐক্য পরিষদ মনে করে।’
ঐক্য পরিষদের এক দফা দাবি তুলে ধরে সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি-অনতিবিলম্বে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ৪৪ আমলার (যার ছয়জনকে ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে) তালিকায় তিন নম্বরে থাকা বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ। ঐক্য পরিষদ মনে করে, এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপসারণের মধ্য দিয়েই সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের যাত্রা শুরু হবে।’
দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি তুলে ধরে সভাপতি বলেন, আগামীকাল ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ‘আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত’ ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ঢাকাস্থ সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি পালন করবেন। এবং ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি চলমান থাকবে। পাশাপাশি চেয়ারম্যান ও তাঁর দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে।
২৮ জুন লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে সভাপতি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ৪৪ আমলার তালিকায় তিন নম্বরে থাকা এবং দেশ ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে অপসারণ না করা হলে আগামী ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকল দপ্তরে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কমপ্লিট শাটডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এর আগে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবার সঙ্গে রপ্তানি কার্যক্রমও চালু ছিলো। তবে শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে রপ্তানি কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে রিকাবদার বলেন, আগামী ২৮ জুন থেকে সারাদেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকল দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘মার্চ-টু-এনবিআর’ পালিত হবে। এই তিন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ থেকে ব্যাগ ঘুচিয়ে টিকেট কেটে এনবিআর অভিমুখে রওয়ানা হবেন।
এনবিআরের এই পরিস্থিতিতে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। বলা হয়, দেশ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে এনবিআরের বিলুপ্তি রোধ ও একটি টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে একাত্ম এনবিআরের কোনো সদস্য থেকে শুরু করে অফিস সহায়ক পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবসর প্রদান, বদলি বা পদায়ন, প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলি বা যেকোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করবে। আমরা মনে করি, জুলাই অভ্যুত্থানের টেকসই সংস্কারের স্পিরিট ও শিক্ষা থেকে আমরা যেন বিচ্যুত না হই। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ ছাড়া এই অচলাবস্থার নিরসন হবে না মর্মে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ মনে করে।
কমিশনার ও সদস্যদের অনুরোধ জানিয়ে সভাপতি বলেন, ‘আমরা কমিশনার ও মেম্বার মহোদয়দের বলছি, আমরা আপনাদের সাথে আছি। আপনারা আমাদের সাথে এক কাতারে চলে আসুন। আমরা সবাই মিলে এই আন্দোলনকে লক্ষ্যে উপনীত করুন।’
সংস্কার বিষয়কে সহায়তা করার জন্য এনবিআর গঠিত কমিটির পক্ষ থেকে ঐক্য পরিষদকে ‘আলোচনার আহ্বান জানিয়ে’ যে চিঠি দেওয়া হয়েছে-তা ঐক্য পরিষদ পেয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা বলেন, ‘ব্যাক ডেটে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। সেই চিঠিতে আবার প্রথম প্রেস নোটে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে এনডোর্স করে যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আপনারা দেখেছেন। অর্থমন্ত্রণালয়ের পরবর্তী প্রেস নোটে সুকৌশলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে পাস কাটিয়ে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (শুল্ক ও ভ্যাট) ক্যাডার প্রতিনিধি বলা হয়েছে। আমরা চিঠি পাইনি। ব্যাক ডেটে তারা চিঠি ইস্যু করেছে। সম্পূর্ণ সময়ক্ষেপন করে, হয়ত অর্থ উপদেষ্টার কাছে আমাদেরকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের একটা নগ্ন প্রয়াস চলছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে কোনো কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
অপরদিকে, ২৫ জুন একটি দৈনিক পত্রিকায় এনবিআর বিলুপ্তি ও আন্দোলন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ঐক্য পরিষদ ক্ষোভ জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা বলেন, আজ ২৫ জুন একটি দৈনিক পত্রিকায় অর্থ উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎকারে আমরা জানতে পারি যে তিনি বলেছেন, এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠন করা হবে। অর্থাৎ এটি সরকারের বিগত ২৫ মে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে তিনটি বিষয় তুলে ধরা হয়। বলা হয়, সরকার এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে এখনও অটল রয়েছে। অর্থাৎ সরকার অবস্থান বদল হয়েছে, যা সরকারের প্রতিশ্রুতির সাথে প্রহসন বৈ কিছু নয়। পাশাপাশি তিনি সাক্ষাৎকারে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পৃথক করা হবে এবং এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি যে, রাজস্ব নীতি পৃথককরণ আমরাও চাই। এ ব্যাপারে আমাদেরও কোনো ছাড় নেই। রাজস্ব সংস্কারে আইনগত বিষয়সহ রাজস্ব ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার আমরা দৃঢ়ভাবে চাই। আরো বলেন, আমরা ‘কেমন এনবিআর চাই’-শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করতে চেয়েছিলাম, যা এনবিআর চেয়ারম্যানের বাধার কারণে সম্ভব হয়নি। তবে রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা আমরা আগামী ৭ জুলাই একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরবো। যেখানে আইন সংক্রান্ত বিষয়াদির পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, অটোমেশন, সার্ভিস ডেলিভারি, ইন্টেগ্রিটি, জবাবদিহিতা, চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা এবং অন্যান্য বিষয়ে আমাদের সংস্কার ভাবনা উল্লেখ থাকবে। যেটা দেখেই দেশবাসী বিচার করবেন যে, আমরা এনবিআর এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার চাই কিনা। এনবিআরের ভেতর থেকেও কেউ কেউ সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন বলে উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন-তা কতটুকু সত্য তা সময়ই বলে দিবে।
একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইন্ধনে এনবিআরে আন্দোলন হচ্ছে-অর্থ উপদেষ্টার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, উপদেষ্টা এই সাক্ষাৎকারে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইন্ধনে এনবিআরে আন্দোলন চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। কে বা কারা এই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী- তা তদন্ত করে সরকার দেশবাসীকে জানাক। এটা আমাদের দাবি। আমরা আগেও বলেছি, দেশবাসীও দেখেছে যে, আমাদের কর্মসূচি ছিল একেবারেই স্বতস্ফূর্ত ও টেকসই সংস্কারের তাগিদে। এনবিআরের ইতিহাসে এই প্রথম ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এত দীর্ঘদিনের ও এত বড় কর্মসূচির পেছনে কোনো গোষ্ঠীর ইন্ধন খোঁজার প্রয়াস মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত তথ্য না পাওয়ার কারণেই ঘটেছে বলে আমাদের মনে হয়।
** এনবিআর ইস্যুতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে সরকার
** বদলির আদেশ ছিঁড়ে প্রতিবাদ, ২৫-২৬ কলম বিরতি
** ভ্যাট-কাস্টমস-করে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
** সারা দেশে এনবিআর কর্মকর্তাদের কলমবিরতি