ব্যাংক এশিয়ার ৪৮০ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় আমান গ্রুপের চার পরিচালকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ব্যাংকটির আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার অর্থঋণ আদালত–৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. তরিকুল ইসলাম। তারা যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সেই বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক এশিয়া আমান গ্রুপের খেলাপি ঋণ আদায়ে ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মোট সাতটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির নামে দায়ের করা অর্থঋণ মামলার শুনানি শেষে চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। আমান গ্রুপ কয়েক দফা পুনঃতপশিল সুবিধা নেওয়ার পরও ঋণ পরিশোধ না করায় ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আদালত বিবাদীদের যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউসিবির দায়ের করা এক মামলায় ঢাকা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম জাকারিয়া হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশের বাইরে যাত্রা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন অর্থঋণ আদালত–৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান।
আমান গ্রুপের মালিকানায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড মিলস, আমান কটন ফাইবার্সসহ আমান টেক্স, আমান সিমেন্ট মিলস, আমান ট্রেডিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে প্রতারণার মামলায় রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলাম জেল খাটেন। তারা যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের নামে ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যার বিনিময়ে ১১৩ শতক জমি বন্ধক রাখা হয়। ঋণ নেওয়ার পর জালিয়াতির মাধ্যমে সেই বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করেন তারা। ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে। ২০২২ সালের ২৩ মে রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে জানা গেছে, তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ছিলেন।