আবারও রপ্তানি হতে পারে সুগন্ধি চাল

সরকার ফের সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে। সম্প্রতি খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা পর্যালোচনার পর চূড়ান্ত হবে।

জানা যায়,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে স্থানীয় উৎপাদন ও চাহিদার ভিত্তিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হতো। ২০২১ সালের জুলাইয়ে সরকার ২৫ হাজার টন রপ্তানির অনুমতি দেয়। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় মজুত বিবেচনায় সব ধরনের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের জুনে সুগন্ধি চাল রপ্তানি সাময়িক স্থগিত করা হয়।

এরপর, রপ্তানিকারকদের অনুরোধে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ১৮,২৪৪ টন রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে তিন মাসের মধ্যে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে, আবার রপ্তানি বন্ধ করা হয়।

রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ায় রপ্তানিকারকদের চালসহ খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক ও কন্টেইনার বন্দর থেকে ফেরত আনতে হয়, ফলে তারা বড় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়েন। তাদের অভিযোগ, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ভারসাম্যের জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়াই হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সুগন্ধি চাল রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি রপ্তানির সুপারিশ করে, জানিয়ে যে উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত চাল কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ‘কেস টু কেস’ ভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান জানান, সুগন্ধি চালের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তার বড় সম্পর্ক নেই, এটি মূলত উৎসব-পার্বণে ব্যবহৃত হয়। এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানির অর্থ দিয়ে চার কেজি মোটা চাল আমদানি সম্ভব। মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এ চালের চাহিদা রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!