জেমকন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধেও ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। দুইজনের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১১৩ কোটি টাকা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্র জানায়, কাজী আনিস আহমেদের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৩ ডিসেম্বর ২০০২ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত সময়কালে বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন হয়। এই সময়ে তার হিসাবে জমা হয় ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা ৯৯ পয়সা এবং উত্তোলন করা হয় ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা ২৮ পয়সা। সর্বমোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৯ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫৬ টাকা ২৭ পয়সা।
অপরদিকে, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। কাজী ইনাম আহমেদের নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে একই সময়ে (২৩ ডিসেম্বর ২০০২ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত) সন্দেহজনক লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গেছে। ওই সময়ে তার হিসাবে জমা হয় ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৩ টাকা ৪৩ পয়সা এবং উত্তোলন করা হয় ৩৬ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৫৪৩ টাকা ৭৯ পয়সা। সর্বমোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ১২৭ টাকা ১২ পয়সা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, উভয় পরিচালকের এই সম্পদ ও লেনদেনের যথাযথ উৎস প্রমাণিত হয়নি এবং সেগুলোকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
** জেমকন গ্রুপের ৩৬ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
** কাজী নাবিল পরিবারের ৩৬২ একর জমি ক্রোক
** কাজী নাবিলসহ ১০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ