জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী ২০০-এর বেশি সার্কেল রাজস্ব কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ১৫৯টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার মধ্যে জানুয়ারিতে ৫২টি ও ফেব্রুয়ারিতে ১০৭টি অভিযান হয়।
বুধবার এনবিআর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫৯টি অভিযানের ফলে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত পণ্যের পরিমাণ কমেছে, যার ফলে বৈধ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তৎপরতা চলতে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য জব্দ হয়েছে এবং এনবিআর সচেতন নাগরিক, সুশীল সমাজ, গোপন তথ্যদাতা ও অন্যান্য অংশীজনদের সহযোগিতা কামনা করছে।
এনবিআর জানায়, জানুয়ারি মাসে এনবিআর ৫২টি তামাক বিরোধী অভিযান করে। এর মধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম)২৪টি, রাজশাহী ১৭টি, ঢাকা (পূর্ব) ৪টি, কুমিল্লা ২টি, রংপুর ১টি অভিযান পরিচালনা করে। অন্যদিকে ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে অভিযান হয়েছে ১০৭টি। অভিযানের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান ৩০টি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩টি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সবগুলো কমিশনারেট মোট ৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্র অনুযায়ী, এনবিআর গত ৬ ফেব্রুয়ারি সার্কেলগুলোকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে, কারণ সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত পণ্য থেকে প্রাপ্ত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব আসে। অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও তামাকজাত পণ্য বিক্রির ফলে জনস্বাস্থ্য ও এনবিআরের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এবং সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এসব পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।