২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন ঠিক করার পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে স্টেশনটি। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাঙচুর করা হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন। এরপর ২৫ আগস্ট মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও বন্ধ ছিল এই দুই স্টেশন। এদিন থেকে মেট্রোরেল সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন রোডের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে মেট্রোরেল শুক্রবার থেকেও চলবে। তবে এ ক্ষেত্রে শুক্রবার চলবে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাতে স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে হেডওয়ে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময়) ১০ মিনিট, ৮ মিনিট ও ১২ মিনিট থাকবে।’
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আগামীকাল থেকেই কাজীপাড়া স্টেশন চালু হবে। এই স্টেশন চালু করতে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে শুধু মানুষের কথা ভেবে দ্রুত এটা চালু করা হচ্ছে। এখানে এখনো অনেক সরঞ্জাম লাগবে, যা আস্তে আস্তে ঠিক করা হবে। তখন খরচ বাড়তে পারে।’
মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রো স্টেশন চালু প্রসঙ্গে আবদুর রউফ বলেন, ‘এই স্টেশন নিয়ে একটি কমটি কাজ করছে। এখনো কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই কমিটি নিরূপণ করছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, গত ১৯ দিনে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ৪৯ লাখ আর আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৫১।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর হতে প্রতি শুক্রবার দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর হতে মতিঝিল রুটে এবং দুপুর ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর রুটে ১২ মিনিট হেডওয়েতে মেট্রোরেল বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর কারিগরি ত্রুটির কারণে সকাল ৯টা ৪০ মিনিট হতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের ট্রেন চলাচল যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। যথাযথ প্রক্রিয়ায় কারিগরি ত্রুটি সংস্কার করে রাত ৮টা ২৫ মিনিট হতে পুনরায় মেট্রো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ রিপোর্ট আগামী ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে দাখিলের জন্য ডিএমটিসিএল, প্রকল্প এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৭ (সাত) সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর এ সংক্রান্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে জানা যাবে।