রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল মোহাম্মদ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক নূর-ই-আলম এবং নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম ও অন্যদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আগে কেনা জমি বন্ধক দিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম যেকোনও সময় দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নিতে পারেন। অনুসন্ধানকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা না গেলে অভিযোগ প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই তার বিদেশ গমন রহিতকরণ করা প্রয়োজন।
নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদনে বলা হয়, নুরল ইসলাম একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে অবৈধভাবে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সাত হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতি গুরুত্বপূর্ণ।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।