ফেব্রিক্স ঘোষণায় ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে কন্টেইনার ভর্তি মদ

আমদানিকারক সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড

ঘোষণা ছিলো চীন থেকে ফেব্রিক্স পণ্য আমদানির। কিন্তু আমদানি হয়েছে ১১ ব্রান্ডের কন্টেইনার ভর্তি অবৈধ বিদেশি মদ। যাতে প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই মদ আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) এই মদ আটক করেছে। বুধবার রাতে এই মদ আটক করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার এ কে এম খায়রুল বাশার জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের আমদজি ইপিজেডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম স্মার্ট ওয়ার লিমিটেড। ঘোষণা দিয়েছিল চীন থেকে আমদানি করবে এক কনটেইনার ফেব্রিক্স পণ্য। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরে এই পণ্য আসার পর দেখা যায় ফেব্রিক্স নয়, মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়েছে ১১ ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৮ লিটার বিদেশি মদ। যার মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি মদের চালান জব্দ করেছে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কনটেইনার থেকে এ মদের চালান আটক করা হয়।

তিনি বলেন, খালাসের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের গোলবাগের সিএন্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড। কনটেইনারের ১ হাজার ১১৪টি কার্টন কায়িক পরীক্ষা করে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া গেছে। ব্রান্ডগুলোর মধ্যে ছিল জ্যাক ড্যানিয়েলস, টেছেরস, স্মিরোনোফ, ব্যালানটাইনস, পাসপোর্ট স্কচ, চিভাস রিগাল, ফোর্থ স্ট্রিট, ১০০ পাইপার, রেপডস, এবসুলেট ভদকা, ব্লাক লেবেল। জব্দকৃত পণ্য চালানের আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ পণ্যচালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির দেওয়ার অপচেষ্টা প্রচেষ্টায় রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

***

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!