ইসলামি ধারার সুকুক বন্ড ছেড়ে আবারও টাকা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। এবার তিন হাজার কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খরচ হবে পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে (২য় পর্যায়)। দেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমাপ্রতিষ্ঠান এতে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিপূর্বে ইস্যুকৃত অন্যান্য সুকুকের মতো নতুন সুকুকও সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহনব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। কারা এই সুকুক বন্ডের কী পরিমাণ পাবেন, তা–ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশি–বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানির অনুকূলে ৭০ শতাংশ, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামি শাখা ও উইন্ডোর অনুকূলে ১০ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিল, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্সসহ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ২০ শতাংশ সুকুক বরাদ্দের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রচলিত ধারার সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানি শর্ত সাপেক্ষে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনটি শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় চাহিদা না পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা নিজ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবেন। প্রবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে তার/তাদের নামে পরিচালিত অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা অনিবাসী টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। সুকুকের মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে পাওয়া আসল বৈদেশিক মুদ্রায় (সব ধরনের প্রযোজ্য ফি এবং/অথবা কর কর্তনপূর্বক) প্রত্যাবাসনযোগ্য হবে। আগামী মার্চে এই প্রকল্পের বিপরীতে তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনা আছে।